পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

३७b” *झ३ेश् আমাদের ঔচিত্যজ্ঞানই আমাদের সত্যজ্ঞানের প্রতিবন্ধক। ধর, তুমি যদি বল যে তুমি ভূত দেখেছ, তাহলে আমি তােমার কথা অবিশ্বাস করব, আর যদি তা না করি ত মনে করব, তোমার মাথা খারাপ शg । --তা ত ঠিক। যে যা বলে, তাই বিশ্বাস করবার জন্য নিজের উপর অগাধ অবিশ্বাস চাই। আর নিজেকে পরের কথার খেলার পুতুল মনে করতে পারে শুধু জড়পদার্থ, অবশ্য জড়পদার্থের যদি মন বলে কোনও জিনিস থাকে। —তুমি যে-রকম ভণিতা করছ, তার থেকে আন্দাজ করছি, “পিয়৷ ও পাপিয়ার” আবির্ভাবের পিছনে একটা মস্ত রোমান্স আছে। --রোমান্স এক বিন্দুও নেই। যদি থাকত, ইতস্তত করব কেন ? নিজেকে রোমান্সের নায়ক মনে করতে কার না ভাল লাগে ? বিশেষত তার, যার প্রকৃতিতে romanticism-এর লেশমাত্রও নেই ? ও-প্রকৃতির লোক যখন একটা রোমান্টিক গল্প গড়ে তোলে, তখন অসংখ্য লোক তা পড়ে মুগ্ধ হয়—কারণ, বেশির ভাগ লোকের গায়ে romanticism-এর গন্ধ পর্যন্ত নেই। মানুষের জীবনে যা নেই, কল্পনায় সে তাই পেতে চায়। আর তার সেই ক্ষিধের খোরাক জোগায় রোমান্টিক সাহিত্য। যে-গল্পের ভিতর মনের আগুন নেই, চোখের জল নেই, বাসনার উনপঞ্চাশ বায়ু নেই, আর যার অন্তে খুন নেই, আত্মহত্যা নেই, তা কি কখন রোমান্টিক হয় ? “পিয়া ও পাপিয়া”র পিছনে যা আছে সে হচ্ছে সাইকলজির একটি ঈষৎ বঁকা রেখা। আর সে বঁােক এত সামান্য যে সকলের তা চোখে পড়ে না, বিশেষত ও-রেখার গায়ে যখন কোনও ডগডগে রঙ নেই। এই জন্যই ত ব্যাপারটি তোমাকে বলতে আমার সঙ্কোচ হচ্ছে। এ-ব্যাপারের ভিতর যদি কোনও নারীর হরণ কিম্বা বরণ থাকত, তা হলে ত সে বীরত্বের কাহিনী তােমাকে স্মৃৰ্তি করে বলতুম। —তোমার মুখ থেকে যে কখনও রোমান্টিক গল্প বেরুৰে, বিশেষত তোমার নিজের সম্বন্ধে, এ-দুরাশা কখনও করিনি। তোমাকে ত