পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

令之 গল্পসংগ্ৰহ সুন্দরী আজও রীতিনীতির কাচের আলমারির ভিতর পোরা রয়েছে,- অর্থাৎ তাদের দেখা যায়, ছোঁয়া যায় না। আমি যে ইহজীবনে এই আলমারির একখানা। কঁচও ভাঙিনি, তার কারণ ও-বস্তু ভাঙলে প্রথমতঃ বড় আওয়াজ হয়-তার ঝনঝননি পাড়া মাথায় করে তোলে; দ্বিতীয়তঃ তাতে হাত পা কাটবার ভয়ও আছে। আসল কথা, সেন eternal feminine at 33 fists (it's CbC3state-2, 3 Stift অনেকের ভিতর। ফল সমানই হয়েছে। তিনিও তা পাননি, আমিও পাইনি। তবে দুজনের ভিতর তফাৎ এই যে, সেনের মত কঠিন মন কোনও স্ত্রীলোকের হাতে পড়লে, সে তাতে বাটালি দিয়ে নিজের নাম খুদে রেখে যায় ; কিন্তু আমার মত তরল মনে, স্ত্রীলোকমাত্রেই তার আঙ্গুল ডুবিয়ে যা-খুসি হিজিবিজি করে দাড়ি টানতে পারে, সেই সঙ্গে সে-মনকে ক্ষণিকের তরে ঈষৎ চঞ্চল করেও তুলতে পারে।--কিন্তু কোনও দাগ রেখে যেতে পারে না ; সে অঙ্গুলিও সরে যায়--তার রেখাও মিলিয়ে যায়। তাই আজ দেখতে পাই আমার স্মৃতিপটে একটি ছাড়া অপর কোন স্ত্রীলোকের স্পষ্ট চবি নেই। একটি দিনের একটি ঘটনা আজও ভুলতে পারিনি, কেননা এক জীবনে এমন ঘটনা দু’বার ঘটে না । আমি তখন লণ্ডনে। মাসটি ঠিক মনে নেই ; বোধ হয়। অক্টোবরের শেষ, কিম্বা নভেম্বরের প্রথম। কেননা এইটুকু মনে আছে যে, তখন চিমনিতে আগুন দেখা দিয়েছে। আমি একদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে বাইরের দিকে তাকিয়ে দেখি যে, সন্ধে হয়েছে ;-যেন সূর্যের আলো নিভে গেছে, অথচ গ্যাসের বাতি জ্বালা হয়নি। ব্যাপারখানা কি বোঝবার জন্য জানালার কাছে গিয়ে দেখি, রাস্তায় যত লোক চলেছে সকলের মুখই ছাতায় ঢাকা । তাদের ভিতর পুরুষ স্ত্রীলোক চেনা যাচ্ছে শুধু কাপড় ও চালের তফাতে। যারা ছাতার ভিতর মাথা গুজে, কোনও দিকে দৃকপাত না করে, হন্‌হন করে চলেছেন, বুঝলুম তারা পুরুষ ; আর র্যারা ডানহাতে ছাতা ধরে বঁাহাতে গাউন হাঁটুপর্যন্ত তুলে ধরে কাদাখোঁচার মত লাফিয়ে লাফিয়ে চলেছেন, বুঝলুম তারা স্ত্রীলোক ।