পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rbro *ॉड्रंथंश বীরবল সে রাত্তিরে একটা প্ৰকাণ্ড খয়ে-গোখরো নিয়ে তার হাতসাফাই দেখাবে, তাই সে আমাকে তার বাড়ীতে নিমন্ত্রণ করেছিল। তার পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে শুনি যে, বীরবলকে রাত্তিরে সাপে কামড়েছে, সে এখন মরমর। এ সংবাদ নিয়ে এলেন। ঝগড়, তিনিও নাকি ঐ দলে ছিলেন-তুবড়ি বাজাবার ওস্তাদ হিসেবে। অতি মাত্রায় মদ্যপানের ফলে ঝগড় সাপের সঙ্গে ইয়ারকি করতে গিয়েছিল, আর তাকে বঁচাতে গিয়েই নাকি সাপের ছোবল বীরবলের হাতে পড়েছে। এ সংবাদ পেয়েই বাবা আমাদের এবং কুকুর কটাকে সঙ্গে নিয়ে বীরবলের বাড়ী গিয়ে উপস্থিত হলেন । আমরা গিয়ে দেখি, তাই তার ভাই-ব্রাদারীতে মিলে তাকে উঠোনে মামিয়েছে, আর মঙ্গলা খৃষ্টান বিড় বিড় করে কি মন্ত্র পড়ছে ও বীরবলের গায়ে জলের ছিঢ়ে দিচ্ছে ; আর লখিয়া সজোরে তার গা টিপছে-সাপের বিষ ডলে নাবাবার জন্য । বীরবলের ভাই-ব্রাদারী থেকে থেকে বেহুলার যাত্রার ধুয়ো ধরেছে—“ও সে বঁাচবে না।” মঙ্গল গ্ৰীষ্টান ওদিগের মধ্যে সবচাইতে নামী রোজা । সে বাবাকে সম্বোধন করে বললে, “হুজুর, বােধহয় রোগীকে আর বঁাচাতে পারলুম না,-যেমনি কামড়েছে, তেমনি যদি আমাকে ডাকত, তাহলে বিধ ঝেড়ে ঠিক নামিয়ে দিতুম। কিন্তু অন্য রোজার তিন ঘণ্টা ধরে ঝাড়ফুক করে যখন হাল ছেড়ে পালিয়ে গেল, তখন আমাকে খবর দিলে। এখন আর কোন মন্তরই লাগছে না, না চণ্ডীর না মেরির।” বীরবলের দেখলুম। সর্বাঙ্গ একেবারে নীল হয়ে গিয়েছে, আর হাত-পা সব আড়ষ্ট । সে চােখ বুজে শুয়ে আছে আর তার নাক দিয়ে একটু একটু নিশ্বাস পড়ছে। হঠাৎ বীরবল চোখ খুললে, আর আমার দিকে চেয়ে বললে, “বাবা, হাম চলতা, কুচ ডর নেই।” এই কটি কথা বলে সে আবার চােখ বুজলে, আর সঙ্গে সঙ্গে তার নিশ্বাসও