পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

5ोंङ्ग-झेशूद्रौ-कु५॥ RW) এই থেকে আন্দাজ করলুম। বৃষ্টি সুরু হয়েছে ; কেননা এ বৃষ্টির ধারা এত সূক্ষ্য যে তা চােখে দেখা যায় না, আর এত ক্ষীণ যে কানে শোনা যায় না। ভাল কথা, এ জিনিষ কখনও নজর করে দেখেছি কি যে, বর্ষার দিনে বিলেতে কখনও মেঘ করে না ? আকাশটা শুধু আগাগোড়া ঘুলিয়ে যায়, এবং তার ছোয়াচ লেগে গাছপালা সব নেতিয়ে পড়ে, রাস্তাঘাট সব কাদায় প্যাচুপাচ করে। মনে হয় যে, এ বর্ষার আধখানা উপর থেকে নামে, আর আধখানা নীচে থেকেও ওঠে, আর দুইয়ে মিলে আকাশময় একটা বিশ্ৰী অস্পৃশ্য নোঙর ব্যাপারের সৃষ্টি করে। সকালে উঠেষ্ট দিনের এই চেহারা দেখে যে একদম মন-মরা হয়ে গেলুম, সে কথা বলা বাহুল্য। এরকম দিনে, ইংরাজরা বলেন তঁদের খুন করবার ইচ্ছে যায় ; সুতরাং এ অবস্থায় আমাদের যে আত্মহতা করবার ইচ্ছে হলে, তাতে আর আশ্চর্য কি ? আমার একজনের সঙ্গে Richmond-এ যাবার কথা ছিল, কিন্তু এমন দিনে ঘর থেকে বেরবার প্রবৃত্তি হল না। কাজেই ব্রেকফাস্ট খেয়ে Times নিয়ে পড়তে বসলুম। আমি সেদিন ও-কাগজের প্রথম অক্ষর থেকে শেষ অক্ষর পর্যন্ত পড়লুম ; এক কথাও বাদ দিই নি । সেদিন আমি প্ৰথম আবিষ্কার করি যে, 'Times-এর শাসের চাইতে তার খোসা, তার প্রবন্ধের চাইতে তার [®န္တုဒါး၊ ঢ়ের পেশী মুখরোচক ! তার আর্টিকেল পড়লে মনে যা হয়, তার নাম রােগ ; আর তার অ্যাভূভার্টিসমেণ্ট পড়লে মনে যা হয়, তার নাম লোভ। সে যাই হোক, কাগজ-পড়া শেষ হতে-না-হতেই, দাসী লাঞ্চ এনে হাজির করলে ; যেখানে বসেছিলুম, সেইখানে বসেই তা শেষ করলুম। তখন দুটাে বোজছে । অথচ বাইরের চেহারার কোনও বদল হয়নি, কেননা এই বিলাতী বৃষ্টি ভাল করে পড়তেও জানে না, ছাড়তেও জানে না। তফাতের মধ্যে দেখি যে, আলো ক্ৰমে এত কমে এসেছে যে, বাতি না জেলে ছাপার অক্ষর আর পড়বার জো নেই । আমি কি করব ঠিক করতে না পেরে ঘরের ভিতর পায়চারি করতে