পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ቅ..brቖ9 钢不到领 করলেন, ওষুধ খেটেছে। কিন্তু মা’র মৃত্যুর পর থেকেই ভৈরবনারায়ণ আবার নিজমূর্তি ধারণ করলেন। মহালক্ষনী তাঁর স্বামীর পর্যন্ত্রী টানাটানির বিরুদ্ধে একদিনের জন্যও আপত্তি করেননি, এমন কি মুহূর্তের জন্য অভিমানও করেননি। তঁর মহাগুণ ছিল তাঁর অসাধারণ ধৈৰ্য । তীর ঐ বড় বড় চোখ দিয়ে কখনও রাগে আগুনও বেরোয়নি, দুঃখে জলও পড়েনি। তিনি ছিলেন হয় দেবতা, নয় পাষাণ। তবে র্তার শরীরে যে মানুষের রক্ত ছিল না, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। মহালক্ষী দিদি ছিলেন ঘোর ধাৰ্মিক, দিবারাত্র পূজা-আর্চা নিয়েই থাকতেন। কত চরিত্রের কত নামের ঠাকুরদেবতাকে যে তিনি ধূপদীপনৈবেদ্য দিয়ে পূজো করতেন, তার আর লেখাজোখা নেই। তঁর কারবারই ছিল দেবতাদের সঙ্গে, মানুষের সঙ্গে নয়। কে জানে দেবতা আছেন কি নেই, কিন্তু মানুষ যে আছে, সে বিষয়ে তা সন্দেহ নেই। সুধু দিদি জানতেন-দেবতা আছে, আর মানুষ নেই। ফলে র্তার স্বামীও হয়ে উঠলেন তার কাছে একটি জাগ্ৰত দেবতা। যে লোককে পৃথিবীসুদ্ধ লোক ঘৃণা করত, একমাত্র তিনি তাঁকে দেবতার মত ভক্তি করতেন। অবশ্য ভৈরবনারায়ণকে তিনি ধূপদীপ দিয়ে পূজো করতেন না, কিন্তু তাঁর ইচ্ছা পূর্ণ করাই ছিল তাঁর স্ত্রধর্ম। স্বামীর সকল দুষ্কর্মের তিনি নীরবে প্রশ্ৰয় দিতেন, অর্থাৎ তিনিও হয়ে উঠলেন সরিৎউল্লা ফকির ও পণ্ডিতমহাশয়ের দলের একজন। অবশ্য তিনি কখনও কোন বিষয়ে মতামত দেননি, তার কারণ কেউ কখনও তঁর মত চায়নি। তারপর যে ঘটনা ঘটল, তাতেই হল ও-পরিবারের সর্বনাশ। সে ব্যাপার এতই অদ্ভুত, এতই ভয়ঙ্কর যে, আজও মনে করতে গায়ে কঁাটি দেয় । (w) ভৈরবনারায়ণ একদিন বাড়ীর ভিতরে এসে দেখেন যে, পূজোর ঘরে একটি পরমাসুন্দরী মেয়ে বসে টাটে ফুল সাজাচ্ছে। তার বয়েস আন্দাজ যোল কি সতেরো। তার রূপের কথা আর কি বলব, যেন