পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ቅbyኳ” 外哥讯纲 ( 4 ) সর্বানন্দ ছিলেন। ভৈরবনারায়ণের ঠিক উল্টো প্রকৃতির লোক। তিনি ছিলেন অতি সুপুরুষ-সাক্ষাৎ কাৰ্তিক ; তার উপরে ঘোর সৌধীন। গেরোবাজ লোটন লক্কা সিরাজু মুখাখি ইত্যাদি হরেকরকম পায়রার তদ্বির করতেই তঁর দিন কেটে যেত। তিনি শ্যামা পাখীকে ছোট এলাচের দানা ঘিয়ে ভেজে নিজ হাতে খাওয়াতেন। এলাচ খেলে নাকি শ্যামার গানের লজ্জত বাড়ে। তার উপরে তিনি দিবারাত্র গানবাজনা নিয়েই থাকতেন। আর নিজে চমৎকার সেতার বাজাতেন। এর ফলে তিনি চারপাশের ছোটবড় সব জমিদারদের মহা-প্রিয়পাত্ৰ হয়ে পড়েছিলেন। তিনি না থাকলে কারও নাচগানের মজলিস জন্মত না। বাই খেমটা মহলে তঁর পিসাের নাকি একচেটে ছিল । সর্বানন্দের কিন্তু এ দুর্ঘটনায় বাইরের কোন বদল দেখা গেল না। সেই হাসিমুখ সেই মিষ্টি কথা, সেই ভালমানুষী হালচাল। শুধু তিনি গানবাজনা ছেড়ে দিলেন। আর তঁর অন্তরঙ্গ বন্ধু বড়নগরের বড় জমিদার কৃপানাথ রায়ের সঙ্গে পরামর্শ করে, থাকে প্ৰাণ যায় প্ৰাণ কাবুল করে দুই বন্ধুতে ভৈরবনারায়ণের ভিটেমাটি উচ্ছন্ন দেবার জন্য কৃতসংকল্প হলেন। যে রাগ সর্বানন্দের বুকে এতদিন ধোঁয়াচ্ছিল, তার থেকে আগুন জ্বলে উঠল। আর সেই আগুনে ভৈরবনারায়ণের সর্বস্ব জ্বলোপুড়ে খাক হয়ে গেল। ( ty' ) ক্রমে ভৈরবনারায়ণ ও সর্বানন্দের লেঠেলরা কাজিয়া সুরু করলে। ফলে এ গ্রাম হয়ে উঠল। ভদ্রলোকদের নয়, লেঠেলের গ্রাম। গ্রামের সকলেই ছিলেন। ভৈরবনারায়ণের বিপক্ষে, সুতরাং তঁরা নানারকমে সৰ্বানন্দের সাহায্য করতে লাগলেন । এমন কি আমাদের মেয়েদেরও কাজ হল সর্বানন্দের জখমী লেঠেলদের শুশ্রুষা করা। আমি নিজের হাতেই কত না লেঠেলের সড়কির ঘায়ে ঘিয়ের সলতে পুরেছি। এই ত গেল আমাদের অবস্থা। আর প্রজাদের দুঃখের কথা কি বলব। যত