পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূতের গল্প సైనీ আমার পরিচয় পেয়ে তিনি বললেন যে, তিনিও এ অঞ্চলের একজন বড় সরকারী এঞ্জিনিয়ার। আর কার্যসূত্রে তিনি ওদেশে কি কি দেখেছেন আর তঁর জীবনে কি কি অসাধারণ ঘটনা ঘটেছে, সে সম্বন্ধে নানারকম খাপছাড়া ও এলোমেলো বক্তৃতা করলেন। দেখলুম, লোকটা শুধু মধুৱসের নয়, মধুর রসেরও রসিক। গঞ্জাম চাড়িয়েই মাদ্রাজ। আর মাদ্রাজে নাকি দেদার অপূর্ব সুন্দরী মেয়ে আছে। যদিচ পথে-ঘাটে যাদের দেখা যায়, তারা সব যেমন কালো, তেমনই কুৎসিৎ। তবে যারা A. J. সুন্দরী, তারা সব অসূর্যাম্পশ্য। আর এই সব গুপ্তরত্নদের সন্ধান দিতে পারে, আর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিতে পারে শুধু P. W. }).-র বড় বড় মাদ্রাজী কনট্রাক্টররা। সেই সঙ্গে তিনি বললেন যে, তুমি যখন একজন বাঙ্গালী কনট্রাক্টর, তখন তুমি যদি এ দেশে প্রেম করতে চাও তি তোমার তা করতে হবে ঐ সব কালো কুলী স্ত্রীলোকদের সঙ্গে-সে প্রেমের ভিতর কোনও রোমান্স নেই। আর আছে নানারকম বিপদ । তারপর তার অনেক প্রেমের কাহিনী শুনলুম। দেখলুম ভদ্রলোকের জীবনে যা যা ঘটেছে, সবই রোমাণ্টক। কিন্তু তার বর্ণনা বিষম realistic ! সেই সব মাদ্রাজ হেলেন-ক্লিওপেট্রাদের কথা সত্য কিংবা সাহেবের সুরাস্বপ্ন, তা বুঝতে পারলুম না। কিন্তু তার একটি গল্প সত্য বলেই মনে হল, আর সেইটেই আজ বলাঁ। গল্প সাহেব বলেছিলেন ইংরেজীতে, আর আমি বলবি বাঙলায়। আমি ত আর কিপলিং নই যে, মাতালের মুখের ভূতের গল্প দি-কাটি ইংরেজীতে আপনাদের কাছে বলতে পারব | এঞ্জিনিয়ার সাহেবের কথা আমি যখন বিলেত থেকে চাকরি পেয়ে প্রথম এ দেশে আসি, তখন এ অঞ্চলের একটি জঙ্গলে জায়গা হল আমার প্রথম কর্মস্থল। কাজ জঙ্গলের ভিতর দিয়ে একটি পাকা রান্তী १ठी कद्रा, थांद्र সেই সঙ্গে আমার পূর্বে যিনি এ কাজে ছিলেন, অর্থাৎ মিঃ রোজাস,