পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ቅ..8&ኃ গল্পসংগ্ৰহ যে রাত্তিরে ফিরে এলুম। এই নাবার ঘর দিয়ে, রাজা সাহেব তোমারই মত পিস্তল হাতে করে এসে আমাকে দেখবামাত্ৰই গুলি করলে। আর ঐ দু'বেটা চৌকীদার আমার লাস জঙ্গলে ফেলে দিলে।” এই কথা বলে সে ঘরের ভিতর তাকিয়ে বললে, “ঐ দেখ, রাজা সাহেব আসছে।” আমি মুখ ফিরিয়ে দেখি যে, খাটের পাশে ছ? ফুট লম্বা একটি ইংরেজ ভদ্রলোক দাড়িয়ে আছে। মরা মানুষের মত তার ফ্যাকাশে রঙ, আর শরীরে আছে শুধু হাড় আর চামড়া। আর খাটে ধবধবে কাপড়ের মত সাদা একটি ইংরেজ মেয়ে মৃত্যু-শয্যায় শুয়ে আছে । ইংরেজ ভদ্রলোকটি আমাকে দেখে বললে, “ও পিশাচী এখনও মরেনি। ও এখনও বেঁচে আছে। ওই আমার স্ত্রীকে বিষ খাইয়ে মেরেছে। নতুন সাহেব এসেছে শুনে এখানে এসেছে-আবার তার স্কন্ধে ভর করতে। আর ভরও নিৰ্ঘাত করবে; কারণ, ও যাদু জানে। ওর হুইস্কির চাইতেও শাদা চামড়ার উপর টান বেশি। আর তুমি যদি ওর রূপের আগুনে পুড়ে মরতে না চাও-যেমন আমি মরেছি।-- তবে এখনই ওকে গুলি কর।” , এ কথা শুনে blue ভেনাস উত্তর করলে, “মিথ্যা কথা। আমি ওর স্ত্রীকে মারিনি। ও-ই আমাকে মেরেছে, তারপর নিজে মন্দ খেয়ে মরেছে।”. --সাহেবটি আমাকে বললেন, “আমার কথা শোন, ছোড় তোমার রিভলভার।--আর দেরী নয়।” এই সব দেখেশুনে ভয়ে আমার গায়ের রক্ত হিম হয়ে গিয়েছিল, আর আমি একেবারে হতবুদ্ধি হয়ে পড়েছিলুম। তাই আমি না। ভেবেচিন্তে রিভলভার ছুড়িলুম। সঙ্গে সঙ্গে হুইস্কির বোতল মেঝেয় পড়ে চুরমার হয়ে গেল, আর বাতিও নিভে গেল। গোলমাল শুনে চৌকীদাররা লণ্ঠন হাতে করে হুড়মুড় করে ঘরের ভিতর ঢুকে পড়ল। আমি তাদের বললুম যে, ঘরে চাের ঢুকেছিল, তাই আমি পিস্তল ছুড়েছি। তারা একটু হাসলে, তারপর সমস্ত বাড়ী আর তার চারপাশ খুঁজে কাউকেও দেখতে পেলে না। তখন