পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ট্রাজেডির সুত্রপাত কলকাতায় তাদের জন্য উদ্বিগ্ন থাকে। আমার সঙ্গে তঁদের পরিচয় কৱিয়ে দিলে সে একটু নিশ্চিত থাকতে পারবে। তারপর সে আমার বাসার ঠিকানা জেনে নিয়ে বাড়ী চলে গেল। পরদিন সকালে রমেন আমার বাসায় এসে উপস্থিত হল। আর তার সঙ্গে আমি তাদের বাড়ীতে তার মার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলুম। গিয়ে দেখি বাড়ীটি মন্দ নয়, ছোট কিন্তু দিব্যি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। মিনিট পাঁচেক অপেক্ষা করবার পর, রমেনের মা বসবার ঘরে এসে উপস্থিত হলেন। দেখলুম, তিনি প্রায় আমার সমবয়সী। যৌবনে বোধ হয় সুন্দরী ছিলেন, কিন্তু হয় ডিসপেপৃসিয়া নয়। অপর কোনও নাচোড়বান্দা রোগে নিতান্ত জীৰ্ণশীর্ণ হয়ে গেছেন। কিছুক্ষণ কথাবার্তার পর বুঝলুম যে তাঁর যথেষ্ট পড়াশুনা আছে ; এবং তাঁর মতামত সবই ইংরেজীতে যাকে বলে advanced | সোধ হয় রুগ্ন। শরীরে ঘরে বসে বই পড়ে পড়ে তঁর মনটাই অসামাজিক হয়ে গিয়েছে । তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন যে, “কতদিন আপনার এখানে থাকা হবে ?” আমি উত্তর করলুম, “আরও মাসখানেক।” তখন তিনি বললেন যে, “আপনার যদি কোনও অসুবিধে না হয় ত, ইতিমধ্যে আমার মেয়েকে ঘণ্টাখানেক করে ইংরেজী পড়ালে বড় ভাল হয়। তার বয়স প্রায় ষোল, সে এবার ম্যাটিক দেবে। আর রমেনের কাছে শুনেছি যে, ইংরেজী আপনি অতি চমৎকার পড়ান। আপনার কাছে পড়ে শুনতে পাই ছেলেরা সাহিত্যরসের আস্বাদ পায়। আমার মেয়ে ম্যাটিক পাশ করে কিনা, তার জন্য আমি মোটেই কেয়ার কারনে ; তার অন্তরে যাতে সাহিত্যের প্রতি একটু টান জন্মায় আমি তাই চাই।” আমি ভদ্রতার খাতিরে তার প্রস্তাবে স্বীকৃত হলুম। কিন্তু মনে মনে বললুম, টোিক স্বগে গেলেও ধান ভানে—এই হিমালয়ে বেড়াতে এসেও আবার পড়ান !—ম রমেনকে বললেন, প্রতিমাকে ডেকে আন ত । প্রতিমা যখন ঘরে এসে ঢুকল, তখন তাকে দেখে অবাক হয়ে গেলুম। এ যে সাক্ষাৎ প্রতিমা। কিন্তু এ-প্রতিমার মূর্তি দেবীমূর্তি