পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a *iअग९थश् SR অনেকদিন অবনীভূষণের কোনও খবর পাইনি, নিইওনি। ইতিমধ্যে আমি স্কুলমাস্টারী থেকে প্রফেসারী পদে প্রমোশন পাই, আর ছেলে পড়ান ছাড়া অপর কোনও বিষয়ে মন দেবার অবসর ছিল না। হঠাৎ একদিন অবনীভূষণের কাছ থেকে আবার এই চিঠি পাই :- “আমি এখন নিতান্ত একা হয়ে পড়েছি। জানই তা আমি নিঃসন্তান, তা ছাড়া আমার স্ত্রীও ইহলোক ত্যাগ করেস্পেন্ন। আমিও সংসার ত্যাগ করব মনে করেছি, কিন্তু তার পূর্বে বিষয়সম্পত্তির একটা (- সুব্যবস্থা করতে চাই, যাতে আমার পৈতৃক ধনের আর পাঁচজনে সদ্ব্যবহার করতে পারে। এ বিষয়ে আমি তোমার পরামর্শ চাই । তুমি যদি একবার এখানে এসো ত বড় ভাল হয়।” এ চিঠি পেয়ে আমি কদিনের ছুটি নিয়ে রায়নগর গেলুম। গিয়ে দেখি অবনীভূষণের চেহারা এতটা বদলে গিয়েছে যে, তাকে দেখে আমাদের সেই কলেজী বন্ধু বলে আর চেনবার যে নেই। র্তার শরীর অসম্ভব রকম শীর্ণ ও জীৰ্ণ হয়ে পড়েছে।--আর তার চোখে একটা আলেয়ার আলো থেকে থেকে জ্বলে উঠছে ও নিবে যাচ্ছে। তিনি আমাকে দেখবামাত্রই তঁর চরিত্রবিকারের ইতিহাস বললেন, যে ইতিহাস আমি পূর্বেই তোমাদের বলেছি। তারপর যখন তিনি অধোগতির চরম দশায় উপস্থিত হয়েছেন, তখন হঠাৎ একদিন প্যারীলাল এসে উপস্থিত হলেন। তিনি এসেই অবনীকে দেখে হোসে বললেন--“তুমি নাকি এখন রাজা প্রিয়ত্ৰতের মতন মনে মনে বলছ :- আহে অসাধ্বমুষ্ঠিতং যদভিনিবেশিতোহমিন্দ্ৰিয়ৈরবিদ্যারাচিতবিষমবিষয়ান্ধকূপে তদলমলমমুন্য বনিতায় বিনােদমূগং মাং ধিন্ধিগিতি গহঁয়াঞ্চকার! তঁর কথা শুনে অবনী অবাক হয়ে গেল দেখে তিনি বললেন“ভাগবতে পড়নি যে, পরম লোক-হিতৈষী প্ৰিয়ত্রত রাজা প্ৰজার অশেষ হিতসাধন করে শেষটায় বনিতার বিনোদ-মৃগ হয়ে নিজেকে এই বলে ধিক্কার দিয়েছিলেন। তারপর ভগবদ্যুভক্তির প্রসাদে এই বনিতাবিলাস