পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবনীভূষণের সাধনা ও সিদ্ধি vRS রোগমুক্ত হয়েছিলেন। তোমার মনে যখন ধিক্কার জন্মেছে, তখন ठूभ७ 4 6ाश ८५एक भूख शत्र; अरु उ१दन्डक्लिा ठूश्रश मण, কারণ তোমার মত লোকের মনে ভগবদভক্তি উদ্রেক করা অতি কঠিন। তোমার পক্ষে যা প্রয়োজন, সে হচ্ছে তান্ত্রিক সাধনমােগ। যে প্রবৃত্তি তোমাকে এ পথে নিয়ে গিয়েছে, সে প্রবৃত্তির চরম সার্থকতা লাভ করলেই তুমি এ রোগ থেকে মুক্ত হবে। এ বিশ্বের অন্তরে একটি নায়িকা আছেন, এ বিশ্ব র্যার স্থূলদেহ ; আর পৃথিবীর নায়িকামাত্ৰই তঁর অংশাবতার। র্তার দর্শনলাভ করলেই তোমার রূপপিপাসা সম্পূর্ণ চরিতার্থ হবে। এসব হয়ত তুমি বিশ্বাস করছ না, কারণ, এ দৰ্শনস্পৰ্শন জাগ্ৰত চৈতন্যের অধিকারবহির্ভূত। কিন্তু এ কথা ত মান ঘে, মানুষের অন্তরে একটি অধঃচৈতন্য আছে ? তেমনি তার অন্তরে একটি উধাবচৈতন্যও আছে। আমরা যাকে আর্ট ও ধর্ম বলি, তা এই উধ্বচৈতন্যগোচর। রক্তমাংসের সম্পর্ক অধঃচৈতন্যের সঙ্গে ও রূপের সম্পর্ক উধ্বচৈতন্যের সঙ্গে। আর দেশকালের অতীত এই নায়িকার উধ্বচৈতন্যেই দর্শন লাভ ঘটে ; আর এ সাধনমার্গে তুমি নায়িকাসিদ্ধ হবে। আমি যে এ সিদ্ধিলাভ করিনি, তার কারণ এক পক্ষ ধরে কঠোর ব্ৰহ্মচৰ্য আমি পালন করতে পারিনি। আমার বিক্ষিপ্তচিত্ততা আমার সকল সাধনা ব্যর্থ করেছে। তাই আমি সংসারে অনাসক্ত, কিন্তু কোন অপার্থিব বস্তুর প্রতি আসক্ত, তা ঠিক জানিনে।” প্যারীলালের কথায় অবনীভূষণ কি সাধনপদ্ধতি অবলম্বন করেছিলেন, তা আর আমাকে বললেন না। তাঁর কথার ভাবে বুঝলুম যে, কোনরূপ বীভৎস প্রক্রিয়া তাকে করতে হয়নি, যা করতে হয়েছিল তা আগাগোড়া মানসিক প্রক্রিয়াই। শুধু এই পর্যন্ত বললেন যে, মাসাবধি কাল কোনও স্ত্রীলোকের মুখদর্শন তাঁর পক্ষে নিষিদ্ধ ছিল। এ সাধনায় সিদ্ধিলাভ করলেই নাকি সাধকের নখদর্পণে সেই দেশকালের অতীত নায়িকার মূর্তি স্পষ্ট ফুটে ওঠে। অবনীভূষণ একাগ্রমনে এ সাধনা করেছিলেন। এমন কি, তীর স্ত্রী কঠিন হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও, তিনি তীর ব্রতভঙ্গ করেননি। 8Y