পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अTi७(ड१द्धि-शुल ( ) ) ইংরেজরা রকমারি গল্প লেখে, তার মধ্যে এক ধরণের গল্পকে ললে অ্যাডভেঞ্চারের কাহিনী। আর এই ধরণের গল্পষ্ট মানুষের পছন্দসষ্ট। যে সব ঘটনার ভিতর বাধা আছে, বিপত্তি আছে—সেই সব ঘটনা নিয়েই অ্যাডভেঞ্চারের গল্প লেখা হয় ; যথা আফ্রিকা দেশে সিংহশিকার, সমুদ্র পাড়ি দিয়ে কোন নতুন দ্বীপে গিয়ে ওঠা, যেখানকার মানুষগুলো সব মানুষখেকো ইত্যাদি। আমরা বাঙালীরা অতি নিরীহ জাত ; শিকার আমরা করি না, যদিও করি। ত ঘুঘু, শিকার। এ শিকারে কোন বিপদ নেই, কেননা ঘুঘু ও সিংহ এক জাত নয়। সমুদ্র ত বেজায় ব্যাপার ; আমরা গঙ্গাও পার তই পুলে চড়ে, নৌকায় চড়ে নয়। কি জানি গঙ্গায় কখন ঝড় উঠবে। অথবা জোর জোয়ার আসবে, আর নীেকে তখনই কাৎ হয়ে মা-গঙ্গার পেটের ভিতর সেদিবে। কাজেই অ্যাডভেঞ্চারের গল্প লেখা আমাদের পক্ষে অসম্ভব। জীবনে যা ঘটে না, সাঠিতৈা তা ঘটান সোজা কথা নয়। এ সত্ত্বেও চােটখাটাে বিপদ আমাদের ভাগ্যেও ঘটে। আমরা বলি যে ‘‘সাবধানের মার নেই’ ;-এর উত্তরে আমার একজন বন্ধু বলতেন যে, ‘মারের সাবধান নেই।” কথাটা সত্য। আমার মত সাবধানী লোকের জীবনেও মধ্যে মধ্যে এমন দু-একটি বেয়াড় ঘটনা ঘটেছে, যা মহাবিপদ হয়ে উঠতে পারত। আজ তারই একটা ঘটনার কথা তোমাদের বলব। তা শুনলেই বুঝতে পারবে ধে, সামান্য ঘটনা কি রকম অ্যাডভেঞ্চার হয়ে উঠতে পারে-যে অ্যাডভেঞ্চারের মধ্যে কোনও বীরত্ব নেই, আছে শুধু ভীরুত্ব। আর ভয়ই হচ্ছে অ্যাডভেঞ্চারের গল্পের প্রাণ ।