পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ॐi7ऊ*ींद्र-श्लं লক্ষ্য করিনি। অবশ্য এ কাপড় শীত ঠেকােনর জন্য নয়,--শীতের ভয় তাড়াবার জন্য। জিনিস যে ভারি হলেই গরম হয়, এ হচ্ছে চোখের লজিক, চামড়ার নয়। আর মানুষে চোখের লজিকের উপর নির্ভর করে নানারকম বিপদে পড়ে ; চোখের ন্যায়ু-ঘোর অন্যায় { সে যাই হোক, এই চারটি বন্ধুর সাক্ষাৎ পেয়ে আমি মহাখুসি হলুম, কারণ এ চারজনই বিদ্বান ও বুদ্ধিমান বেজায়, গল্পেও সুরসিক। চারজনেরই কাজ আছে বটে, কিন্তু কেউ তা মন দিয়ে করে না। আপিস-আদালতের চাইতে আডিডার মোহ তাদের ঢের বেশি। এর থেকে বুঝতে পারছেন যে, তারা আমারই দলের লোক ; অর্থাৎ বাজে কথাই তাদের মতে কাজের কথা । র্যাদের সঙ্গে আমি ছিলুম, তারাও এদের আগমনে মহাপুসি তলেন। এরা মধ্যাহ্ন ভোজনের পর আমাদের বাড়ীতে আড়া দিতে আসতেন, আর বেল পাঁচটা পর্যন্ত নানা সত্যমিথ্যা গল্প করতেন, আর তার ভিতর থেকে রসিকতার স্মৃলিঙ্গ বেরত। এরা হাসতেও পারতেন, হাসাতেও পারতেন। বিকেলে চা-খাবার পর আমরা বেড়াতে বের তুম, এবং অন্ধকার হলে যে যার স্বস্থানে ফিরে যেতেন--আমিও ঘরে ফিরম। ( 8 ) খালি রাস্তায় টাে টো করে ঘুরে আমরা পায় হাৰ্টীর উপর বিরক্ত হয়ে গেলুম। তারপরে একদিন ঘোড়ায় চড়ে একটা লম্বা চক্কর দেব স্থির করলুম। অবশ্য আমরা কেউ যথার্থ ঘোড়সোয়ার ছিলুম না। ঘোড়ায় চড়বার অভ্যাস আমারই শুধু একটু আধটু ছিল। কিন্তু আমার বন্ধুরা কোন বিষয়েই পিছপাও নন। সুতরাং এ প্রস্তাবে সকলেঙ্গ মহা উৎসাহিত হয়ে উঠলেন। আমাদের সকলেরই তখন পূর্ণযৌবন,- শরীর শক্ত, মন বেপরোয়। সুতরাং বন্ধুরা ঘোড়ায় চড়তে ऊभूिभ আর না জানুন, সকলেই ঘোড়ায় চড়তে রাজী হলেন। পাঁচটি ঘোড়া সংগ্ৰহ হল। অবশ্য সবগুলিই ভুটিয়া টাটু, । ভুটিয়া টাটু, কিন্তু সব