পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

wćło tjgjestë —আজ্ঞে চলবে না কেন, তবে তেমন জমবে না। ভয়ানক রসের अलङांशों भी उद्ध ब्रांछेि ४भरु । ঘোষাল পণ্ডিত মশায়ের মুখের কথা কেড়ে নিয়ে বলে উঠল— -এ লাখ কথার এক কথা । কেননা মানুষের বাইরেট যখন শীতে কঁাপিছে, তখনি তার ভিতরটাও ভয়ে কঁপান সঙ্গত। এই দুষ্ট কঁপুনিতে মিলে গেলে, গল্পের আর রসভঙ্গ হয় না। পণ্ডিত মশায় এ কথা শুনে মহা-খুসি হয়ে বল্লেন-তা ত বটেই! আর তা ছাড়া মধুর রসের মধ্যেই তা ভয়ানক প্রভৃতি সকল রসই বর্তমান, তাতেই না অলঙ্কার শাস্ত্রে ওর নাম--আদিরস । রায় মশায়ের মুখ দিয়ে এতক্ষণ শুধু অম্বরি তামাকের ধোঁয়ার একটি ক্ষীণ ধারা বেরচ্ছিল, এইবার আবার কথা বেরল ; কিন্তু তার ধারা ক্ষীণ নয় --আপনার অলঙ্কার শাস্ত্রে যা বলে বলুক, তাতে কিছু আসে যায় না। আমার কথা হচ্ছে এই, আমি এখন বুড়ো হতে চাম্বুম—বয়েস প্ৰায় পঞ্চাশ হল । এ বয়েসে প্রেমের কথা কি আর ভাল লাগবে ? ও সব গল্প যাও, ছেলে-ছোকরাদের শোনাও গিয়ে। উপস্থিত সকলেই জানতেন যে, রায় মশায় তঁর বয়েস থেকে তার তৃতীয় পক্ষের সহধর্মিণীর বয়েস-অর্থাৎ ঝাড় পনের বৎসর চুরি করেছেন, অতএব তঁর কথার আর কেউ প্ৰতিবাদ করলেন না। শুধু ঘোষাল বললে-- --হুজুর, ছেলে-ছোকরার নিজের প্রেম করতে এত ব্যস্ত যে প্রেমের গল্প শোনার তাদের ফুরসৎ নেই। তা ছাড়া আদিরসের কথা শোনায় ছেলেদের নীতি খারাপ হয়ে যেতে পারে, হুজুরের ত আর সে ভয় নেই! --দেখেছেন পণ্ডিত মশায়, ঘোষাল কেমন হিসেবী লোক ! যাই বলুন, কার কাছে কোন কথা বলতে হয়, তা ও জানে। -সে কথা আর বলতে । শাস্ত্রে বলে যৌবনে যার মনে বৈরাগ্য আসে সে-ই যথার্থই বিরক্ত, আর বৃদ্ধ বয়সেও যার মনে রস থাকে সেই