পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Wbgi *काश्यंशं --হুজুর যেখানে যাবেন আমি সঙ্গে সঙ্গে যাব। --দেখেছেন পণ্ডিত মশায়, ঘোষালের আর যাই দোষ থাক, লোকটা অনুগত বটে। যাক ও সব বাজে কথা, যার কপালে যা আছে তাই হবে। তুই এখন বল, তারপর কি হল ? --তারপর দেবতারা একটা বিদ্যুতের ছুচোবাজি ছেড়ে দিলেন। সেটা ঐ কপাটের ফাঁক দিয়ে গলে এসে অন্ধকারের বুক চিরে ব্ৰাহ্মণের ' ছেলের চােখের সুমুখ দিয়ে লাউডগা সাপের মত একে বেঁকে গিয়ে সামনে পড়ল। তার আলোতে দেখা গেল যে দশ হাত দূরে একটা পৰ্বত-প্রমাণ মন্দির খাড়া রয়েছে। ব্ৰাহ্মণের ছেলে অমনি “ব্যোম ভোলানাথ” বলে হুঙ্কার দিয়ে ছুটে গিয়ে সেই মন্দিরের দুয়োরে ধাক্কা মারতে লাগল। একটু পরে ভিতর থেকে কে একজন হুড়কে খুলে দিলে। তারপর ব্ৰাহ্মণসন্তান ঢোকবার আগেই ঝড়-জল হো হো করে মন্দিরের ভিতর গিয়ে পড়ল, আর অমনি বাতি গেল নিবে। এই অন্ধকারের মধ্যে ব্ৰাহ্মণের ছেলেটি হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। —মন্দিরে ঢুকে ভাবা গঙ্গারামের মত দাঁড়িয়ে রইল ? আর পায়ের জুতো খুললে না, আচ্ছ ব্ৰাহ্মণের ছেলে তা! --হুজুর, সে জুতোয় কিছু দোষ নেই, রবারের। —এই যে বললি বুট ? -বুট বটে, কিন্তু রবারের বুট। হুজুর, আমার গল্পের নায়ক কি এতই বোকা যে মন্দির অশুদ্ধ করে দেবে ? --তারপর অনেক ডাকাডাকিতে কেউ জবাব না করায় সেভদ্রলোক অগত্যা হাতড়ে হাতড়ে কপাটের হুড়কো বন্ধ করে দিলে। তারপর পকেট থেকে দিয়াশলাই বার করে জ্বালিয়ে দেখলে যে বঁ-দিকে একটা হারিকেন লণ্ঠন কাৎ হয়ে পড়ে রয়েছে। অনেক কষ্টে সেই লণ্ঠনটি ? জেলে দেখতে পেলে ডান দিকে দেয়ালের গায়ে-খাড়া রয়েছে চিত্রপুত্তলিকার মত একটি মুর্ত। আর সে কি মুর্তি! একেবারে মারবেল পাথরে খোদা। ব্ৰাহ্মণসন্তান একদৃষ্টি সেই মূর্তির দিকে চেয়ে রইল। সে দেখবার মত জিনিসও বটে। নাকটি তিলফুলের মত, চোখ দুটি