পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৬৯

ফরমায়েসি গল্প & না, মাখে কুন্তলবৃশ্য। আর অপ্সরার টানে भाभूर्भ श्श ऐछन्:ा १iाशल । তখন স্বর্গে না গেলে আর মানুষের নিস্তার নেই, অথচ সেখানে প্ৰবেশ। নিষেধ। কি বলেন পণ্ডিত মশায় ? -প্রমাণ ত হাতেই রয়েছে,-বিক্রমোেৰ্বশী। -শুনলেন হুজুর, পণ্ডিত মশায় কি বললেন ? এ অবস্থায় ব্ৰাহ্মণসন্তানটিকে কি করে ভালবাসায় ফেলি ? --তাহলে কি গল্প এইখানেই বন্ধ হল ? -আজ্ঞে তাও কি হয়! যা হল তা শুনুন :-- ব্ৰাহ্মণের ছেলেকে অমন উসখুসি করতে দেখে, সেই মূর্তিটিও একটু ভীত ত্ৰস্ত হয়ে উঠল, অমনি তার কঁধ থেকে অঞ্চল পড়ল। খসে। ব্ৰাহ্মণের ছেলে দেখতে পেলে তার কঁধে ডান নেই, ব্যাপারটা যে কি তখন আর তার বুঝতে বাকি থাকল না। এখন বুঝছেন হুজুর, ওকে দিয়ে প্ৰণাম করালে কি অনর্থটাই ঘটত ? একে তরুণ বয়েস, তাতে আবার হাতের গোড়ায়, পড়ে-পাওয়া ডানাকাটা পরী ! তার উপর আবার এই দুর্যোগের সুযোগ। এ অবস্থায় পঞ্চতপা ঋষিদেরই মাথার ঠিক থাকে না-ব্ৰাহ্মণের ছেলে ত মাত্র বালা যোগী। পরস্পর পরস্পরের দিকে চাইতে লাগল; ব্ৰাহ্মণ যুবক সিধেভাবে, আর যুবতীটি আড়ভাবে। চার চক্ষুর মিলন হবামাত্র সেই সুন্দরীর নয়ন-কোণ থেকে একটি উল্কাকণা খসে এসে ব্ৰাহ্মণের ছেলের চোখের ভিতর দিয়ৈ। তার মরমে গিয়ে প্রবেশ করলে। ব্রাহ্মণের ছেলের বুক বিলেতি বেদান্ত পড়ে পড়ে শুকিয়ে একেবারে শোলার মত চিমসে ও খড়খড়ে হয়ে গিয়েছিল, কাজেই সেই সুন্দরীর চোখের চকমকি-ঠাক আগুনের ফুলকিটি সেখানে পড়বামাত্র সে বুকে আগুন জ্বলে উঠল। আর তার ফলে, তার বুকের ভিতর যে ধাতু ছিল সে সব গলে একাকার হয়ে উথলে উঠতে লাগল, আর অমনি তার অন্তরে ভূমিকম্প হতে সুরু হল। তার মনে হল যেন তার পাজরা সব ধ্বসে যাচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে তার সর্বাঙ্গ থর থর করে কঁপতে লাগল, মুখের ভিতর কথা জড়িয়ে যেতে লাগল, মাথা দিয়ে ঘাম পড়তে লাগল। এক কথায় ম্যালেরিয়া-জুর আসবার সময় মানুষের যে