পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ხჯ8 १झग९१iई অবস্থা হয় তার ঠিক সেই অবস্থা হল। ব্ৰাহ্মণের ছেলে বুঝলে, তার বুকের ভিতর ভালবাসা জন্মাচ্ছে। এই বর্ণনা শুনে উজ্জ্বলনীলমণি অত্যন্ত ঘূণাব্যঞ্জক স্বরে বলে ॐलन :- আহা! পূর্বরাগের কি চমৎকার বর্ণনাই হল! রসশাস্ত্রে যাকে বলে সাত্ত্বিক ভাব, তার উপমা হল কিনা ম্যালেরিয়া-জ্বর ! ঘোষাল যখন মধুর রসের কথা পেড়েছিল, তখনই জানি ও শেষটায় বীভৎস রস এনে ফেলবে। আর লোকে বলবে, ঘোষাল কি রসিক ! ঘোষাল এসব কথার কোন উত্তর না করে স্মৃতিরত্নের দিকে চাইলে। সে চাউনির অর্থ-মশায় জবাব দিন। স্মৃতিরত্ন বললেন :- ত্ৰিগুণের সাম্যাবস্থাতেই ত চিত্ত প্রকৃতিস্থ থাকে। আর তুমি যাকে সাত্ত্বিক ভাব বলছি, সেও তা একটা চিত্তবিকার ছাড়া আর কিছুই নয়। সুতরাং ও মনোভাবকে মনের জ্বর বলায় ঘোষাল কি অন্যায় কথা বলেছে ? —পণ্ডিত মশায়, শুধু তাই নয়। ম্যালেরিয়ার সঙ্গে ও-জিনিসের আরও অনেক মিল আছে। দুয়ের চিকিৎসাও এক, মধুর রসেরও ওষুধ তিক্ত রস। তত্ত্বকথার কুইনিন খাওয়ালে ভালবাসা মানুষের মন থেকে পালাতে পথ পায় না । দেওয়ানজি এ কথার প্রতিবাদ করে বললেন-কুইনিনে বুঝি জ্বর ছাড়ে ? শুধু আটকে দেয়। শিশি শিশি কুইনিন গিলেছি, কিন্তু আমার পিলে রায় মশায় এতক্ষণ অন্যমনস্ক হয়ে কি ভাবছিলেন। উজ্জ্বলনীলমণি ও স্মৃতিরত্বের কথায় তিনি কান দেননি, কিন্তু দেওয়ানজির কথাটি তাঁর কানে পৌছেছিল। তিনি মহা গরম হয়ে বললেন :- চুপ কর হে দেওয়ানজি, তোমার পিলে কত বড় হয়ে উঠেছে, সে কথা শুনে শুনে আমার কান পচে গেল। ঘোষালের যে যকৃৎ শুকিয়ে যাচ্ছে, কৈ ও ত তা নিয়ে রাত নেই দিন নেই। যার তার কাছে নাকে কাঁদতে বসে না । পিলে যকৃতের চাইতে যা দশগুণ বেশি সাংঘাতিক,