পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফরমায়েসি গল্প \ჯუჯტ{ তাই হয়েছে ঐ ব্রাহ্মণের ছেলের-হৃদরোগ। ও-যে কি ভয়ানক রোগ তা আমি ভুগে ভুগে টের পেয়েছি। সে যা হােক, ঘোষাল যে একটা ব্ৰাহ্মণের ছেলেকে রাতদুপুরে একটা তেপান্তর মাঠের ভিতর একটা মন্দিরের মধ্যে একটা মেয়ের হাতে সঁপে দিলে, অথচ তার কে বাপ কে মা, কি জাত কি গোত্র জানা নেই, সে বিষয়ে দেখছি তোমাদের কারও খেয়াল নেই। হা দেখ ঘোষাল, তুই ব্রাহ্মণের ছেলের জাত মারবার আচ্ছা ফন্দি বার করেছিস ; উজ্জ্বলনীলমণি যে বলেছিল তোর ধৰ্মজ্ঞান নেই, এখন দেখছি সে কথা ঠিক। —আজ্ঞে সে কথা আমি অন্য সূত্রে বলেছিলুম। যা ঘটনা হয়েছে তাতে ঘোষালের দােষ নেই। পূর্বরাগ ত আর জাতবিচার করে প্রায় না। এ বিষয়ে বিদ্যাপতি ঠাকুর বলেছেন, “পানি পিয়ে পিছু জাতি বিচারি”- -বটে। তবে যাও মুসলমানের ঘরে খাও পানি-বদনায় করে। তারপর এখানে একবার জাতবিচার করতে এসে দেখা কি হয় ! —হুজুর, গোসাইজি কথা ঠিকই বলেছেন, শুধু একটা কথায় একটু ভুল করেছেন। “পানি” না বলে ব্রাণ্ডিপানি বললে আর কোনও গোলই হত না । জল অবশ্য যার তার হাতে খাওয়া যায় না, কিন্তু মদ সকলের হাতেই খাওয়া যায়। আর ভালবাসা জিনিসটে ত দুনিয়ার সেরা মদ । --তোর দেখছি হতভাগা শুড়িখানা ছাড়া আর কোথাও উপমা জোটে না। তোরা দুটোয় মিলেছিস ভাল। একে মনসা, তায় ধুনোর গন্ধ। একে ঘোষাল মূলগায়েন, তার উপর আবার ऐछंठयुक्लाब्जभ*ि দোহার। এ বিষয়ে আমি পণ্ডিত মশায়ের মত শুনতে চাই, তোদের কথা শুনতে চাইনে । —অজ্ঞাতকুলশীলার প্রতি ভালবাসার ঐ রূপ আচম্বিতে জন্মলাভটা স্মৃতির হিসেবে নিন্দনীয়, কিন্তু কাব্যের হিসেবে প্রশস্ত। শকুন্তলা, দময়ন্তী, মালবিকা, বাসবদত্ত, রত্নাবলী, মালতী প্রভৃতি সব নায়িকারই ত