পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कद्वाशाहभूमि १iछ Yomm°ኣ -আজ্ঞে প্ৰাণে মারতে পারি, কিন্তু জাত কিছুতেই মারব না। হুজুরের কাছে গল্প বলছি, আর আমার নিজের প্রাণের ভয় নেই ? --দেখ তোকে আগে বলেছি, ব্ৰহ্মহত্যা কিছুতেই হতে দেব না। --আজ্ঞে যদি আখেরে মাথায় বাজ পড়ে লোকটা মারা যায়, সেও কি আমার দোষ ? এ দুৰ্যোগ কি আমি বানিয়েছি ? —কি বললি ? ব্ৰাহ্মণের অপমৃত্যু, মন্দিরের ভিতরে আর আমার সুমুখে ? বেটা আজ গাঁজা টেনে এসেছিস বুঝি। যেমন করে পারিস মিলনান্ত করতেই হবে-বিয়োগান্ত কিছুতেই হতে দেব না। -আজ্ঞে আমিও ত সেই চেষ্টায় আছি। তবে ঘটনাচক্ৰে কি হয় তা বলতে পারিনে। একটা কথা আপনার পা ছুয়ে বলছি, যেমন করেই হোক আমি ওর জাত আর প্রাণ-দুই টিকিয়ে রাখব, তারপর যা হয় ! হুজুর আমার বেয়াদবি মাফ করবেন, যদি একটু ধৈর্য ধরে না থাকেন তাহলে গল্প এগুবে কি করে, আর যদি না এগোয় তা তার অন্তই বা হবে কি করে। --আচ্ছা বলে যা । --তবে শুনুন :- ব্ৰাহ্মণের ছেলে প্রথমটা যতটা হতবুদ্ধি হয়ে পড়েছিল, শেষে আর ততটা থাকল না। সব বিপদের মত ভালবাসার প্রথম ধাক্কাটা সামলান মুস্কিল, তারপর তা সয়ে আসে। ক্রমে যখন তার জ্ঞান-চৈতন্য ফিরে এল, তখন সে সেই মেয়েটিকে ভাল করে খুঁটিয়ে দেখতে লাগল। প্রথমেই তার চোখে পড়ল যে মেয়েটির মাথার চুল কপালের উপর চূড়ে করে বাঁধা, আমাদের মেয়েরা নেয়ে উঠে চুল যেমন করে বাঁধে তেমনি করে, বােধ হয় চুল ভিজে গিয়েছিল বলে। তারপর চােখে এসে ঠেকল তার গড়ন। সে অঙ্গসৌষ্ঠবের কথা আর কি বলব! তার দেহটি ছিল তার চােখের মত লম্বা, তার নাকের মত সোজা আর তার ঠোঁটের মত পাতলা। কিন্তু বেচারি ভিজে একেবারে সপসাপ হয়ে গিয়েছিল। তার শাড়ী চুইয়ে দীরবিগলিত ধারে জল পড়ছিল, মনে হচ্ছিল যেন তার সর্বাঙ্গ রোদন করছে। এই দেখে ব্ৰাহ্মণের ছেলের ভারি