পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VAVeber *iझग९ćiश् মায়া হল, সঙ্গে সঙ্গে তার বুকের ভিতরও আত্মপ্রাণী কঁদতে সুরু করে দিল । “-চলে নীলশাড়ী নিঙাড়ি নিঙাড়ি পরাণ সহিত মোর ” --কি ? কি ? উজ্জল-নীলমণি আবার কি বলে ? --হুজুর, গোসাঁইজির ভাব লেগেছে, তাই ইনি পদাবলী आi७७ाए5छन । ऐछनेि दल0छन्— “-চলে নীলশাড়ী নিঙাড়ি নিঙাড়ি পরাণ সহিত মোর ।” --ঘোষাল! মেয়েটার পরণে কি রঙের শাড়ী ছিল রে ? --হুজুর, লাল । -আঃ! ঐ এক কথায় সব মাটি করলে হে!-- “-চলে। লাল শাড়ী নিঙাড়ি নিঙাড়ি পরাণ সহিত মোর ” বললে ও কবিতার আর থাকে কি! আর যার তুল্য কবিতা ভূ-ভারতে কখন হয়ওনি, হবেও না, তারই কি না জাত মেরে দিলে ? ? --গোসাইজি, গোসা করছেন কেন ? আমি যে রঙ চড়িয়েছি তাতেই ত উপমা মেলে। মানুষের পরাণ যদি কেউ নিঙড়ায় তাহলে তা থেকে যা বেরোবে তার রঙ ত লাল। তবে বলতে পারিনে, হতে পারে যে কারও কারও রক্তের রঙ ও চামড়ার রঙ এক-ঘোর নীল । —নাই পেয়ে পেয়ে এখন দেখছি তুমি ভদ্রলোকের মাথায় চড়ছ। --রাগ করেন কেন মশায় ! কোনও সাহেবকে যদি বলা যায় যে তোমার গায়ের রক্ত নীল, তাহলে ত সে না চাইতে চাকরি দেয়। আবার একটা বকাঝাঁকির সূত্রপাত দেখে রায় মশায় হুঙ্কার ছেড়ে বললেন,- —যদি কথায় কথায় তর্ক তুলিস তাহলে রাত দুপুরেও গল্প শেষ হবে না-আর তুই ভেবেছিস এইখানেই আজ রাত কাটাব ? —হুজুর, তর্ক আমি করি! আমি একজন গুণী লোক-নভেলিস্ট।