পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

❖ዓቅ.. १iझग९१iश् কোন বাইরের লক্ষণ দেখা যায় না ; আর যদি দেখা যায়, তাহলেই বুঝতে হবে সে সব হাবভাব, ভিতরে সব ফাঁকা। —তবে কি ওদের মনের কথা জািনবার জো নেই ? -আমি ত তা বলিনি, আমি বলছি জানা দুঃসাধ্য, কিন্তু অসাধ্য নয়। ওদের মুখ ওদের বুকের আয়না নয়। যেমন পুরুষের পাণ্ডুরোগ, তেমনি স্ত্রীলোকের হৃদরোগ ধরা পড়ে চোখে, এখানেও মেয়েটা ঐ চোখেই ধরা দিলে। কি হল শুনুন :- তার চােখের ভিতর একটা অতি টিমে অতি ঠাণ্ড আলো ফুটে উঠল। কিন্তু সে আলো বিদ্যুৎ, স্ত্রী-বিদ্যুৎ বলে অত ঠাণ্ড। সেই স্ত্রী-বিদ্যুতের টানে ব্ৰাহ্মণের ছেলের চোখ থেকে পুং-বিদ্যুৎ ছুটে বেরিয়ে এল, তারপর সেই দুই বিদ্যুৎ মিলে লুকোচুরি খেলতে লাগল। —“নয়ন ঢুলঢুলি লহু লহু হাস অঙ্গ হেলাহেলি গদগদ ভাস।” --উজ্জ্বল-নীলমণি আবার কি বলে হে ? -আজ্ঞে ওঁর ভাবোল্লাস হয়েছে তাই উনি আখির দিচ্ছেন। -আখরই দিন। আর যাই দিন আমি বলে রাখছি যে আখেরে ঐ “নয়ন দুলাঙ্গুলি লহু লহু হাসের” বেশি আর আমি যেতে দেব না। -আজ্ঞে এর একটা ত আর একটার অবশ্যম্ভাবী পরিণাম । --রাখি হে তোমার পরিণামবাদ, অমন ঢের ঢের দর্শন দেখেছি। --হুজুর, গোসাঁইজির কথা শুধু দৰ্শন নয়, বিজ্ঞানসম্মতও বটে। কোন বস্তুর ভিতর বিদ্যুৎ সেঁতুলে তা আপনি হয়ে ওঠে চুম্বক। --বােট ! হতভাগারা মরবার আর জায়গা পেলে না, দেবমন্দিরকে করে তুললে একটা কুঞ্জবন। যেমন আক্কেল ঘোষালের, তেমনি উজ্জ্বলনীলমণির, এখন দেখছি এ দুটাে মাসতুতো ভাই। --হুজুর, বড় বড় কবিরাও এ কাজ পূর্বে করে গিয়েছেন। --সত্যি নাকি পণ্ডিত মশায় ? -আজ্ঞে আমি ত কোন সংস্কৃত কাব্যে দেখিনি যে দেবালয় হয়েছে 6४° झश !