পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

पद्मभाश्नर्नेि ?ान्न Yo°ጵvጋ -আমাদের পদাবলীতেও ওসব ব্যাপার মন্দিরের বাইরেই ঘটে। বিদ্যাপতি ঠাকুর বলেছেন, “যব গোধূলি সময় ভেলি ধনী মন্দির दक्षिद्ध 6ङलि ” --ঘোষাল, নিজে করবি কুকীৰ্তি আর বড় বড় কবিদের ঘাড়ে চাপাবি দোষ । --হুজুর, আমি মিথ্যে কথা বলিনি, বাঙলার বড় বড় লেখকরা এ কাজ না করলে আমার কি সাহস যে আমি আগে ভাগেই তা করে বসব, আমি ত একজন ছোট গল্পকার। “মহাজনো যেন গত: স পন্থ” হিসেবেই আমি চলি । -বাঙলা আবার ভাষা, তার আবার লেখক, তার আবার নজীর! মন্দিরের ভিতর আমি মধুর রসের চর্চা আর বেশি করতে দেব না, কে জানে তােদের হাতে পড়ে সে রস কতদূর গড়বে। —তাহলে বলি হুজুর, ওটা আসল মন্দির নয়, ভোগের দালান। -আবার মিথ্যে কথা ? এই হাজার বার বলছিস মন্দির, আর এখন বলছিস ভোগের দালান। --হুজুর, মন্দির হলে আর তার ভিতর ঠাকুর থাকত না ? আগেই ত বলেছি যে সেখানে একটি ছাড়া দুটি মূতি ছিল না ? —তাও ত বটে। খুব ডিগবাজি খেতে শিখেছিস। তুষ্ট আর জন্মে ছিলি গৌরবাজ । --হুজুরের কৃপায় এখন লোটন না হলেই বঁচি । —আচ্ছা যাক, এখন তুই গল্প বলে যা, এতক্ষণে জমছে। --হুজুর, তারপর ব্ৰাহ্মণসন্তানটি এমনি স্নেহভরে ব্রাহ্মণকন্যাটির দিকে দৃষ্টিপাত করতে লাগল যে তার গায়ে সাত্ত্বিক ভাবের লক্ষণগুলি সব ফুটে উঠল। তার কপাল বেয়ে ঘামের সঙ্গে সিথের সিঁদুর গলে তার ঠোঁটের উপর পড়ল, আর তার অধর পান-খাওয়া ঠোঁটের মত লালটুকটুকে হয়ে উঠল। -রোস রোস, সিঁদুরের কথা কি বললি ? —কই হুজুর, সিঁদুরের নামও তা ঠোঁটে আনিনি!