পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

86や9 शअल९१श् বীণা এ কথা শুনে আমাকে বললেন, “ঘোষাল, উপরে যাও ও কাকাবাবুকে বল শ্ৰোতা-বাবুদের সব বিদায় করে দিতে।--আর তাদের টাকাকড়ি সব ফিরিয়ে দিতে। তুমি যাবে আর আসবে।” আমার মনে হল তিনি দুরন্ত চিত্তচাঞ্চল্য সামলে নেবার জন্য মুহূর্তের জন্য আমাকে সরিয়ে দিলেন। আমি তাঁর আদেশ হরিকুমারজীকে জানিয়ে । সেই সরু সিঁড়ি দিয়ে আবার নেমে এলুম। দেখি বীণাদেবী যেখানে ছিলেন, সেখানেই দাঁড়িয়ে আছেন চিত্র-পুত্তলিকার মত। মনে হলদুঃখে ও লজ্জায় তিনি অভিভূত হয়ে পড়েছেন। আমি আসবামাত্র তিনি বললেন- “চল বড়বীের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আসি-আমার এক যেতে সাহস হচ্ছে না। ভাল কথা, ব্যাপার দেখে ও শুনে তোমার কি মনে হচ্ছে ?” —“আমার মনে হচ্ছে-নীচে অন্ধকার, উপরে আলেয়ার আলো; নীচে রোগ-শোক, উপরে নাচ-গান। এরি নাম সুবিন্যস্ত সমাজ ।” বীণা এ কথা শুনে স্তম্ভিত হয়ে গেলেন। তারপর বললেন-“যাও নটবর, বৌঠানকে গিয়ে বল যে, দোতলার ‘বিবিজি’ আপনার সঙ্গে (fa KF33 905 o বীণার স্বজন ঘরে ঢুকতেই চােখে পড়ল, সুমুখে একটি শ্বেতপাথরের প্রতিমা দাড়িয়ে আছেন-প্ৰায় আমার মত লম্বা ; পরণে একখানি লালপোড়ে উজ্জ্বল গরদের শাড়ী, বীণাদেবীর ধাঁচেই সুমুখে কেঁচা ও বাঁ কঁধে আঁচল দিয়ে পরা। এ মূর্তি জমাট অহঙ্কারের মূর্তি ; আর সে অহঙ্কার যেমন দৃপ্ত তেমনি দীপ্ত। বীণাকে দেখে তিনি একটু চমকে উঠলেন। পরমুহূর্তে বীণা যখন তাঁকে প্ৰণাম করতে অগ্রসর হল, তখন তিনি বললেন-“আমাকে ছুয়ো না, কেননা ছুলে আবার স্নান করতে হবে।” বীণা দু’পা পিছু হটে বললে-আমকে চিনতে পারছি না ?” --না। কে তুমি ? -বীণা ৷