পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V39 45 এ পূজার যথার্থ মূল। এবং জ্ঞান জিনিষটি অবশ্য মনের ধৰ্ম্ম, শরীরের নয়। এ বিষয়ে আমি তোমাদের সঙ্গে কখনও একমত হতে পারিনি, তার কারণ রূপ সম্বন্ধে হয় আমি অন্ধ ছিলুম, নয় তোমরা অন্ধ ছিলে। আমার ধারণা, প্রকৃতির হাতে-গড়, কি জড় কি প্ৰাণী, কোন পদার্থেরই যথার্থ রূপ নেই। প্ৰকৃতি যে কত বড় কারিকর, তঁর সৃষ্ট এই ব্ৰহ্মাণ্ড থেকেই তার পরিচয় পাওয়া যায়। সূৰ্য, চন্দ্ৰ, পৃথিবী, এমন কি উস্কা পর্যন্ত, সব এক ছাঁচে ঢাল, সব গোলাকার,--তাও আবার পূরোপুরি গোল নয়, সবই ঈষৎ তেড়ী-বাঁকা, এখানে ওখানে চাপা ও চেপ্টা। এ পৃথিবীতে যা-কিছু সর্বাঙ্গসুন্দর, তা মানুষের হাতেই গড়ে উঠেছে। Athems-এর Parthenon থেকে আগ্রার তাজমহল পর্যন্ত এই সত্যেরই পরিচয় দেয়। কবিরা বলে থাকেন যে, বিধাতা তঁাদের প্রিয়াদের নির্জনে বসে নির্মাণ করেন। কিন্তু বিধাতা-কর্তৃক এই নির্জনে-নির্মিত কোন প্ৰিয়াই রূপে গ্ৰীকশিল্পীর বাটালিতে-কাটা পাষাণ-মূর্তির সুমুখে দাঁড়াতে পারে না। তােমাদের চাইতে আমার রূপজ্ঞান ঢের বেশি ছিল বলে, কোনও মর্তা নারীর রূপ দেখে আমার অন্তরে কখনও হৃদরোগ জন্মায়নি। এ স্বভাব, এ বুদ্ধি নিয়েও আমি জীবনের পথে etternal feminine-কে পাশ কাটিয়ে যেতে পারিনি। আমি তঁাকে খুজিনি,-একেও নয়, অনেকেও নয়,-কিন্তু তিনি আমাকে খুজে বার করেছিলেন। তঁর হাতে আমার এই শিক্ষা হয়েছে যে, স্ত্রীপুরুষের এই ভালবাসার পূরো অর্থ মানুষের দেহের ভিতরও পাওয়া যায় না, মনের ভিতরও পাওয়া যায় না। কেননা ওর মূলে যা আছে তা হচ্ছে একটি বিরাট রহস্য,-ও পদের সংস্কৃত অর্থেও বটে, -trail Ocefs 45-O-te statist 3(ts both a mystery and a joke. একবার লণ্ডনে আমি মাসখানেক ধরে ভয়ানক অনিদ্রায় ভুগছিলুম। ডাক্তার পরামর্শ দিলেন Ifracombe যেতে। শুনলুম ইংল্যাণ্ডের পশ্চিম সমুদ্রের হাওয়া লোকের চােখে মুখে হাত বুলিয়ে দেয়, চুলের ভিতর বিলি কেটে দেয় ; সে হাওয়ার স্পর্শে জেগে থাকাই কঠিন