পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৩০

988 १क्ष३अंश থেকে এসেছিল নোেটা; তাকে পরানো হয়েছে খন্দরের ধূতি, খন্দরের কুর্ত, ও মাথায় দেওয়া হয়েছে খন্দরের গান্ধী টুপি। গিামীম হঠাৎ আবিষ্কার করলেন যে, বরের গলায় পৈতে নেই। আমনি অগ্নিশৰ্মা হয়ে বললেন—আমাদের বাড়ীর মেয়েকে পৈতেহীন বরে সম্প্রদান করতে দেব না। হুকুম হল, ডাকো পুরুতকে। আমি অবশ্য পুরুত সেজেছিলুম। আমি হাজির হয়ে তঁর মত শুনে বললুম-পুতুলের আবার জাত কি ? গিয়ী বললেন-ওদের প্রাণ প্ৰতিষ্ঠা করে তবে ত বিয়ে দিতে হবে ? আমি বললুম-অবশ্য তাই। গিয়ী বললেন— প্রাণপ্ৰতিষ্ঠার পর ওর জাত কি হবে ? বােসজা বললেন-ঘোষাল, দাও তোমার পৈতেগাছি ওটাকে পরিয়ে। গিন্নী বললেন, তা যেন হল; কিন্তু পুরুতের গলায় পৈতে নেই, সে বিয়ে দেবে ?-একথা শুনে আমি বললুম-চেনা বামুনের আর পৈতের দরকার কি ? এই সময় খোকাবাবু এসে উপস্থিত হলেন--আর এক নতুন ফোঁকড়া তুললেন। খােকাবাবু ঘরে ঢুকেই বােসমশায়কে বললেন- ওস্তাদজীর পৈতে ওঁকে ফিরিয়ে দিন। বোসমশায় খোকাবাবুর মুখ চােখের চেহারা দেখেই বুঝেছিলেন যে, তিনিও অগ্নিশৰ্মা হয়েছেন ; তাই তিনি দ্বিরুক্তি না করে আমার পৈতে আমাকে ফিরিয়ে দিলেন। খোকাবাবু তার মাকে জিজ্ঞেস করলেন-জাতিভেদ তবে তুমি মােন ? -খাওয়া দাওয়ায় মানিনে, বিয়ে পৈতেয় অবশ্য মানি। তারপব গিন্নামা প্রশ্ন করলেন-এ বিয়ে কি তাহলে হবে না ? --না হয় তা তার জন্য আমি দুঃখিত নই। --তুমি ত এ বিয়েতে প্ৰথম থেকে আপত্তি করনি ? -আমার এ ছেলেখেলায় মত ছিল না। তবে অমত যে করিনি, তার একমাত্র কারণ এ হচ্ছে অসবর্ণ বিবাহ। -পুতুলের আবার জাত কি ? -আমাদের সঙ্গে পুতুলের প্রভেদ কি ? আমরা রক্তমাংসের পুতুল, আর ওরা মাটির কিংবা নেক্ৰড়ার পুতুল। এই ত ?