পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8. *९छ् তারপর একদিন এর রাতদুপুরে আমার বাড়ী চড়াও হয়ে আমাকে বিছানা থেকে তুলে, আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে, কালীবাড়ী নিয়ে গিয়ে হাড়কাঠে ফেলে আমাকে বলি দেবার উদ্যোগ করলে। খাড়া ছিল ঐ গুলিখোর মিছু সর্দারের হাতে। আমি প্রাণভয়ে অনেক কান্নাকাটি করবার পর এরা বললে, “তুমি ঠাকুরের সুমুখে দিব্যি কর যে আর কখন লাঠি ছোবে। না, তাহলে তোমাকে ছেড়ে দেব।” হুজুর, নিজের প্রাণ বাঁচাবার জন্যে এই দিব্যি করেছি; আর তারপর থেকে একদিনও লাঠি সড়কি ছুইনি। কথা সত্যি কি মিথ্যে-ঐ গুলিখের মিছুকে জিজ্ঞেস করলেই টের পাবেন ।” ( ७ ) মিছু আমাদের বাড়ীর লেঠেলের সর্দার। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলুম, “ঈশ্বরের কথা সত্যি না মিথ্যে ?”- সে 'হাঁ।” “ন’ কিছুই উত্তর করলে না। ঈশ্বর এর পর বলে উঠল, “হুজুর, আমি মিথ্যে কথা জীবনে বলিনি --আর, কখনও বলবাও না।” তারপর, আমি তাকে জিজ্ঞেস করলুম, “মিছু যদি গুলিখোর হয় ত এমন পাকা লেঠেল হল কি করে ?” ঈশ্বর বললে, “হুজুর, নেশায় শরীরের শক্তি যায়, কিন্তু গুরুর কাছে শেখা বিদ্যে তা যায় না । বিদ্যে হচ্ছে আসল শক্তি । সেদিন দেখলেন না ? ঠাকুরদাস কামার অত বড় মোষটার মাথা এক কোপে বেমালুম কাটলে; আর ঠাকুরদাস দিনে-দুপুরে গুলি খায়। আমি নেশা করিনে বটে, কিন্তু বয়সে আমার শরীরের জোর এখন কমে এসেছে-যেমন সকলেরই হয়। যদি এরা অনুমতি দেয়-তাহলে দেখতে পাবেন। যে বুড়ে হাড়েও বিষ্ঠে সমান আছে।” এর পর আমি লেঠেলদের জিজ্ঞেস করলুম। তারা ঈশ্বরকে খেলবার অনুমতি দেবে কিনা। তারা পরস্পর পরামর্শ করে বললে, “আমরা