পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কোট্টন ও লোট্টন : ( . ) যে কালের কথা বলছি, তখন আমি বাংলাদেশের কোন একটি সহরে বাস করতুম-কলকাতায় নয়। পাড়াগােঁয়ে সহরে নানা অভাব থাকতে পারে, কিন্তু একটা জিনিসের অভাব নেই।--অর্থাৎ জমির। সহরের ভিতরে না হোক বাইরে দেদার জমি পড়ে আছে-জঙ্গল নয়, ধানের ক্ষেত। আর সেই সব ধানক্ষেতকে কেউ কেউ প্ৰকাণ্ড হাতাওয়ালা বাড়ীতে পরিণত করেছেন। আমি যে বাড়ীতে বাস করতুম, সেটা ছিল সেই জাতের বাড়ী। সে বাড়ীতে বারো হাত কঁাকুড়ের তের হাত বীচি-গোছ একটা মস্ত আস্তাবল ছিল-বসতবাড়ীর গা ঘেঁসে নয়, দু’তিন রশি তফাতে বড় রাস্তার ধারে। সে আস্তাবলে ছিল মস্ত একটা গাড়ীখানা, তার দু’পাশে দুটি ঘোড়ার থান, আর তার ওপাশে সইস-কোচম্যানদের সপরিবারে থাকবার ঘর। আমি যে সময়ের কথা বলছি, তখন সেখানে গাড়ীও ছিল না, ঘোড়াও ছিল না, মানুষও থাকত না। ছিল শুধু ইদুর ও ছুচে, টিকটিকি ও আরসোলা ; আর সেখানে যাতায়াত করত গো-সাপ টোঁড়াসাপ আর গিরগিটি, যাদের দেখবামাত্র আমাদের নীরব ও নিরীহ বিলেতি শিকারী কুকুরটা তন্মুহুর্তে বধ করত; অথচ তাদের মাংস খেত না। G feat &sist state (a real sportsman "rictবাধিকারস্তে মা ফলেষু কদাচন”—এ উপদেশ তাকে দেওয়া ছিল নিম্প্রয়োজন ; কারণ ফলনিরপেক্ষ হত্যাই ছিল তার স্বধৰ্ম। ( R ) একদিন সকালে আমাদের বাড়ীর বারান্দায় বসে চা খাচ্ছি, এমন সময় শুনতে পেলুম সেই পোড়ো আস্তাবলে কে মহা চীৎকার করছে।