পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 R গল্পসংগ্ৰহ এসেছে আমাদের বাড়ী লুটে নিয়ে যেতে। মা হেসে বললেন—“যে - রকম শুনছি তাতে ওরা ভূত হতে পারে, কিন্তু ডাকাত কিছুতেই নয়।” ( ७ ) ফলে ঝোট্টন ও লেটিন আমাদের আস্তাবলেই থেকে গেল। মা । ওদের দুবেলা খাবার বন্দোবস্ত করে দিলেন ও দুদিন পরে ডাক্তার বাবুকে ডেকে পাঠালেন। তিনি বললেন এদের চিকিৎসা করতে অনেক দিন লাগবে, তাই হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়াই ভাল। চিনিবাস পরদিনই তাদের দুজনের হাত ধরে হাসপাতালে নিয়ে গেল। কিন্তু হাসপাতাল তখন ভর্তি, তাই সেখানে তাদের স্থান হল না। হাসপাতালের ডাক্তার বাবু চিনিবাসকে বললেন—রোজ সকালে একবার করে এদের নিয়ে এস, নিত্য পরীক্ষা করে ওষুধ দেব। কোট্টন রোজ যেতে রাজি হল, কিন্তু লোট্টন বললে সে রোজ অত দূর হাঁটতে পারবে না। চিনিবাস তখন প্ৰস্তাব করলে যে, সে লোটনকে পিঠে করে রোজ হাসপাতালে নিয়ে যাবে ও ফিরিয়ে আনবে। আর বাস্তবিকই দিন পনের ধরে সে তাই করলে। লোট্টন দু’পা দিয়ে চিনিবাসের কোমর জড়িয়ে ধরত, . আর দু’হাত দিয়ে তার গল। চিনিবাসের এই কাৰ্য দেখে আমরা সকলেই অবাক হাতুম। মা বলতেন-চিনিবাস মানুষ নয়, দেবতা। এত করেও কিছু হল না। লোট্টন একদিন রাত্রে শুয়ে সকালে আর উঠল না। চিনিবাসই তার সৎকারের সব ব্যবস্থা করলে। লোট্টনকে মাদুরে জড়িয়ে একটা বঁাশে ঝুলিয়ে, সে পোড়াতে নিয়ে গেল ; একা নয়, আর জন তিনেক জাতভাই জুটিয়ে। মা তার খরচ দিলেন এবং চিনিবাসকে ভাল করে বকশিস দেবেন স্থির করলেন। কিন্তু এ বিষয়েও উপেন-দা তার আপত্তি জানালেন। তঁর কথা এই যে, লোট্টনের সব খাবার চিনিৰােস খেত, আর লোট্টন না খেতে পেয়ে भन्न शिशएछ। भा क्रिख्न कब्रएनन, “ठूभ ििनवानहरु (लाप्लेनन्न খাবার খেতে দেখেছ ?” তিনি বললেন, “না, লোট্টনের মুখে শুনেছি।” মা আর কিছু বললেন না।