পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাস্টক্লাশ ङ्ङ 8w —তবে এত গোরস্থানে কারা পোতা আছে ? —সব ফিরিঙ্গি। তবে দু’চারজন সাহেব যে মরে না, এমন কথা বলছিনে। কিন্তু যারা মরে ভূত হয়, তাদের দেখা আমরা পাইনে। -এদেশে তারা গাছেও থাকে না, পায়ে হেঁটেও বেড়ায় না। তারা ট্রেনের ফাস্ট ক্লাশ গাড়ীতে চড়ে বেড়ায়। আর ফিরিঙ্গি ভূতরা সেকেণ্ড ক্লাশ গাড়ীতে। তবে একবার একজনের দেখা পেয়েছিলুম, তা আর বলবার কথা নয়। আজও মনে হলে কান্না পায়। —আমরা সেই সাহেব ভূতের গল্প শুনতে চাই। সারদা-দা একটা দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে বললেনআচ্ছা বলছি শোন । কিন্তু এ গল্প যেন আর কাউকে বলে না । -কেন ? --কি জানি আবার যদি মানহানির মামলায় পড়ে যাই। মরা লোকেরও মানহানি করলে জরিমানা হয়, জেলও হয়। আবার জেল খাটতে ইচ্ছে নেই। এর পর সারদা দাদা বললেনঃ আমি একবার কলকাতা থেকে কাশী যাচ্ছিলুম। হাওড়া স্টেশনে যখন পৌছলুম, তখন গাড়ী ছাড়ে ছাড়ে। তাই একটা খালি ফাস্ট ক্লাশ গাড়ীতে উঠে পড়লুম। এই মনে করে যে, পরের স্টেশনে নেমে থার্ড ক্লাশে ঢুকব। গাড়ী ত ছাড়ল, অমনি বাথরুম থেকে একটি সাহেব বেরিয়ে এল। ঝাড় সাড়ে ছ’ফুট লম্বা, মুখ রক্তবর্ণ, চােখ গুগলির মত । আর তার সর্বাঙ্গে বেজায় মদের গন্ধ বেরচ্ছে, আর সে বিলেতি মদের। সে ঘরে ঢুকেই বললে, “কাল আদমী, নীচু যাও।” আমার তখন ভয়ে নাড়ী ছেড়ে গিয়েছে, আমি কঁাপিতে কঁাপিতে বললুম, “হুজুর আভি কিস্তরে নীচু যায়েগা ? দুসর স্টেসনমে। উতার যায়েঙ্গে।” তিনি বললেন-“ও নেহি হে সকতা। তোমারা কাপড়া বহুত ময়লা আর তোমরা দেহ মে বহুত বাদ বু। গোসলখানামে যাকে তোমরা কাপড় উতারকে গোসল করে। আওর হুই বৈঠ রহাে । হাম চলা যানেসে তুম গোসলখানাসে নিকলিয়ে। হাম যে বােলতা আভি করে, জানতা