পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bातू-शैक्षांद्रौ-कुशू 登酸 হাওয়া। একদিন গোধূলি, আর একদিন কড়া রোদুর। তা ছাড়া সে ছিল একাধারে শিশু, বালিকা, যুবতী আর বৃদ্ধ। যখন তার স্মৃষ্টি হত, তার আমোদ চড়ত, তখন সে ছোট ছেলের মত ব্যবহার করত; আমার নাক ধরে টানত, চুল ধরে টানত, মুখ ভেংচাত, জিভ বার করে দেখাত। আবার কখনও বা ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে, যেন আপন মনে, নিজের ছেলেবেলাকার গল্প করে যেত। তাকে কে কবে বকেছে, কে কবে আদর করেছে, সে কবে কি পড়েছে, কৰে কি প্রাইজ পেয়েছে, কৰে বনভোজন করেছে, কবে ঘোড়া থেকে পড়েছে ; যখন সে এই সকলের খুটিয়ে বর্ণনা করত, তখন একটি বালিকা-মনের স্পষ্ট ছবি দেখতে পেতুম। সে ছবির রেখাগুলি যেমন সরল, তার বর্ণও তেমনি উজ্জ্বল। তারপর সে ছিল গোড়া রোমান-ক্যাথলিক। একটি আবৃলিসকাঠের ক্রুশে-আঁটা রূপের ক্রাইস্ট তার বুকের উপর অষ্টপ্রহর ঝুলত, এক মুহূর্তের জন্যও সে তা স্থানান্তরিত করে নি। সে যখন তার ধর্মের বিষয়ে বক্তৃতা আরম্ভ করত, তখন মনে হত তার বয়েস আশী বৎসর। সে সময়ে তার সরল বিশ্বাসের সুমুখে আমার দার্শনিক বুদ্ধি মাথা ঠোঁট করে থাকত। কিন্তু আসলে সে ছিল পূর্ণ যুবতী,-যদি যৌবনের অর্থ হয় প্ৰাণের উদাম উচ্ছাস। তার সকল মনোভাব, সকল ব্যবহার, সকল কাগার ভিতর এমন একটি প্রাণের জোয়ার বইত, যার তোড়ে আমার অন্তরাত্মা অবিশ্রান্ত তোলপাড় করত। আমরা মাসে দশবার করে ঝগড়া করতুম, আর ঈশ্বর সাক্ষী করে প্রতিজ্ঞা করতুিমি যে, জীবনে আর কখনও পরস্পরের মুখ দেখব না। কিন্তু দু’দিন না যেতেষ্ট, চয় আমি তার কাছে ছুটে যৌতুম, নয়। সে আমার কাছে ছুটে আসত। তখন আমরা আগের কথা সব ভুলে যৌতুম—সেই পুনর্মিলন আবার আমাদের প্রথম মিলন হয়ে উঠত। এই ভাবে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস কেটে গিয়েছিল। আমাদের শেষ ঝগড়াটা অনেকদিন স্থায়ী হয়েছিল। আমি বলতে ভুলে গিয়েছিলুম যে, সে আমার মনের সর্বপ্রধান দুর্বলতাটি আবিষ্কার করেছিল—তার নাম jealousy —যে মনের আগুনে মানুষ জুলে পুড়ে মরে, “রিণী” সে আগুন জ্বালাবার মন্ত্র জানত। আমি