পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্র বাস-নৃতি। আমি বলিলাম, এ ত মন্দ নহে। সময়ের সধাবহার করিবার একটা উপায় পাওয়া গেল। আজ নারীহৃদয়ের, স্পেক্ট , ম আানালিসিস, রশ্মি বিশ্লেষণ করিয়া দেখা যাক। কাহার মধ্য হই৬ে কি রঙের ছট বাহির । হয় সেটা কৌতুকাবহ পরাক্ষার বিষয় বটে। পরীক্ষ। সুরু হইল এবং ছটা নানা প্রকমের বাহির হঠতে লাগিল । চলিতে চলিতে দহকে চোখে ধরে বলিয়৷ উঠি, বাঃ দিব্য! অমনি কেহ বা চট করিয়া থুসি হইয়া উঠে ; প্ৰগলভ গান.দর প্রক।*্য গাসি একেবারে এক নিমেষে মুখচক্ষুর সমস্ত কোণ উপকোণ। তইতে ঠিকারির বা১ির হয়। কাতারো কা লভাৰ গ্ৰীধাথল পর্যন্ত । রক্তিম তইয়া উঠে ; দ্রুত চকিত হৃৎপিওখামকাঅনাবশ্যক উদ্বেগে জুটি কর্ণপ্রান্ত এবং দ্র কপোলকে উত্তপ্ত উদাপ্ত করিয়া ে তোল ; লজ্জাবতা ম শ্রশিরে, তরুণ ইরিণীর , গন্ধদৃষ্টির ষ্ঠা লক্ষ্য হইতে আপনাকে কোনমতে ধাচাইয়৷ ঢলিয়া যায়। । কাহারো বা মুখে এককালে ডটডবর দ্বন্দ্ব উপস্থিত হয়, ভ|লও লাগে অথচ ভাল লাগ। উচিত নয়। এটাও মন হয় : দুই বিপরীত তরঙ্গ পরস্পরকে দাধ করিয় দেয়। ও ফোটে না, বিরক্তিকেও যাপাচিত অকৃত্ৰিম দেখিণ্ডে ভয় । না। কিন্তু কোন কোন মহারসী মহিল৷ অপমানদংশিত দ্রুতবেগে দৃঢ় পদক্ষেপে পাগের অপর পার্ষে চলিরা গেছেন, তাদের জুলওঁড়িৎ, রোঘকটঃক্ষপাত হইতেও আমরা বঞ্চিত হইয়াছি। আবার কোন কোন তেজস্বিনীর দুইটি দাপ্ত কালো চক্ষু, ভুল বানানের উপর প্রচণ্ড পরীক্ষকের কালো পেন্সিলের মত, আমাদের দুজনার মাথা হইতে পা পর্যন্ত সজোরে দুইটা । কালো লঙ্গনার দাগ টানিয়া দিয়াচে, ক্ষণকালের জন্টা আমাদের মনে হইয়াচে যেন বিধাত।র রচনা৷ হইতে আমরা এক দামে কাটা পড়িলাম। শেষকলে আমরা উন্মত্ত জোতির্বিদের মত নীল কম; ধূসর পিঙ্গল পাটল চক্ষুতারকার জ্যোতিষ্কমণ্ডলীর মধ্যে মিঞ্চ তীব্র রুষ্ট তুষ্ট স্থির চঞ্চল বিচিত্র রশ্মিজালে একেবারে মিরাদ্দেশ হইয়া গেলাম। যে সকল নব নব রহস্য আবিষ্কার' করিা:তছিলাম, তাহা কোন চস্তবে কোন অপটিকস শাস্ত্রে আজ পর্যন্ত লিপিবদ্ধ হয় নাই।