পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अiछ5ि ー。 শেষ কথা || Conscience কে ঘুম পাড়াবার কািত-নী মন্ত্রই আমরা শিখেছি। ! অতঃপর পান্ধি চলতে সুরু করল। সর্দারাজী আশা দিয়েছিলেন যে, হুজুরের কোনই কষ্ট হবে না। কিন্তু সে আশা যে “দিলাশ” মাত্র, তা বুঝতে আমার বেশিক্ষণ লাগেনি। কেননা, হুজুরের সুস্থ শরীর ইতিপূর্বে কখনও এতটা ব্যতিব্যস্ত হয়নি। পাল্কির আয়তনের মধ্যে আমার দেহায়তন খাপ খাওয়াবার বৃগা চেষ্টায় আমার শরীরের যে ব্যস্তসমস্ত অবস্থা হয়েছিল, তাকে শোযাও বলা চলে না, বসাও বলা চলে না । শালগ্রামের শোওয়া বসা দুই এক হলেও মানুষের অবশ্য ত নয়। কাজেই এ দুয়ের ভিতর যেটি হোক একটি আসন গ্ৰহণ করবার জন্য আমাকে অবিশ্রাম কসরৎ করতে হচ্ছিল । কুচিমোড়া না ভেঙ্গে বীরসেন ত্যাগ করে পদ্মাসন গ্ৰহণ করবার জো ছিল ন, অথচ আমাকে বাধ্য হয়ে মিনিটে মিনিটে আসন পরিবর্তন করতে অচ্ছিল । আমার বিশ্বাস এ অবস্থায় হঠযোগীরাও একস্থানে বহুক্ষণ স্থায়ী হতে পারতেন না, কেননা পৃষ্ঠদণ্ড ঋজু করবামাত্র, পন্ধির ছাদ সজোরে মস্তকে চপেটাঘাত করছিল। ফলে, গুরুজনের সুমুখে কুলবধুর মত, আমাকে কুঞ্জ পৃষ্ঠে নতশিরে অবস্থিতি করতে হয়েছিল। নাভিপদ্মে মনঃসংযোগ করবার এমন সুযোগ আমি পূর্বে কখনও পাইনি; কিন্তু অভ্যাসদোষে আমার বিক্ষিপ্ত চিত্তবৃত্তিকে সংক্ষিপ্ত করে নাভি-বিবরে সুনিবিষ্ট করতে পারলুম না। শরীরের এই বিপৰ্যন্ত অবস্থাতে আমি অবশ্য কাতর হয়ে পড়িনি । তখন আমার নবযৌবন। দেহ তার স্থিতিস্থাপকতা-ধর্ম তখনও তারিয়ে পসেনি। বরং সত্য কথা বলতে গেলে, নিজ দেহের এই সব অনিচ্ছাকৃত অঙ্গভঙ্গী দেখে আমার শুধু হাসি পাচ্ছিল। এই যাত্রার মুখে পূর্বদিক থেকে যে আলো ও বাতাস ধীরে ধীরে বয়ে আসছিল, তার দর্শন ও স্পর্শনে আমার মন উৎফুল্ল উল্লসিত হয়ে উঠেছিল; সে বাতাস যেমন সুখস্পর্শ, সে আলো তেমনি প্রিয়দর্শন। দিনের এই নব-জাগরণের সঙ্গে সঙ্গে আমার নয়ন মন সব জেগে উঠেছিল। আমি একদৃষ্টি Ο Α.