পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আহুতি ଶ } SsD BDBD BDB SLL KBDD DB BDBBDB gDDB gD নয়নাভিরাম এবং মনোরম উদাহরণ, তা বলতে পারিনে। মধ্যে একটি ডোবা, আর তার তিন পাশে একতলা সমান উচু পাড়ের উপর খান। দশবারো খড়ে ঘর, আর এক পাশে একটি অশ্বখ গাছ। সেই গাছের নীচে পান্ধি নামিয়ে, বেতারারা ছুটে গিয়ে সেই ডোবায় ডুব দিয়ে উঠে, ভিজে কাপড়েই চিড়-দইয়ের ফলার করতে বসল। পান্ধি দেখে গ্রামবধুরা সব পাড়ের উপরে এসে কাতার দিয়ে দাঁড়াল। এই পল্লীবধুদের সম্বন্ধে কবিতা লেখা কঠিন, কেনমা এদের আর যাই থাক,- রূপও নেই, যৌবনও নেই। যদি বা কারও রূপ থাকে ত, তা কুপঃৰণে ঢাকা পড়েছে, যদি বা কারও যৌবন থাকে ত, তা মলিন বসনে চাপ৷ পড়েছে। এদের পরনের কাপড় এত ময়লা যে, তাতে চিমটি কাটলে একতাল মাটি উঠে আসে। যা বিশেষ করে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল, সে হচ্ছে তাদের হাতের পায়ের রূপোর গহন। এক যোড়া চূড় আমার চােখে পড়ল, যার তুল্য সুশ্ৰী গড়ন একালের গহনায় দেখতে পাওয়া যায় না। এই থেকে প্রমাণ পেলুম যে, বাঙলার নিম্নশ্রেণীর স্ত্রীলোকের দেতে সৌন্দৰ্য না থাক, সেই শ্রেণীর পুরুদ্ধের তাতে আর্ট আছে। ঘণ্টা আন্ধেক বাদে আমরা আবার রওনা হলুম। পন্ধি অতি পারে সুস্থে চলতে লাগল, কেননা ভূরিভোজনের ফলে আমার বাহকদের গতি আপন্নসত্ত্বা স্ত্রীলোকের তুল্য মৃদুমন্থর হয়ে এসেছিল। ইতিমধ্যে আমার শরীর মন ইন্দ্ৰিয় পঞ্চপ্ৰাণ প্রভৃতি সব এতটা ক্লান্ত ও অবসন্ন হয়ে পড়েছিল যে, আমি চােখ বুজে ঘুমবার চেষ্টা করলুম। ক্রমে জ্যৈষ্ঠ মাসের দুপুর রোদ্দুর এবং পান্ধির দােলার প্রসাদে আমার অন্দ্র। এল ; সে তন্দ্ৰ। কিন্তু নিদ্রা নয়। আমার শরীর যেমন শোওয়া বসা এ দুয়ের মাঝামাঝি একটা অবস্থা প্ৰাপ্ত তয়েছিল, আমার মনও তেমনি লুপ্তি ও জাগরণের মাঝামাঝি একটা অবস্থা প্ৰাপ্ত হয়েছিল। এই অবস্থায় ঘণ্টা দুয়েক কেটে গেল। তারপর পান্ধির একটা প্রচণ্ড ধাক্কায় আমি জেগে উঠলুম, সে ধাক্কার বেগ এতই বেশি যে, তা আমার দেহের ষটুচক্ৰ ভেদ