কুসমি বললে, আচ্ছা দাদামশায়, শুনেছি এক সময়ে তুমি বড়ো বড়ো কথা নিয়ে খুব বড়ে বড়ো বই লিখেছিলে।
জীবনে অনেক দুষ্কর্ম করেছি, তা কবুল করতে হবে। ভারতচন্দ্র বলেছেন, সে কহে বিস্তর মিছা যে কহে বিস্তর।
আমার ভালো লাগে না মনে করতে যে, আমি তোমার সময় নষ্ট ক’রে দিচ্ছি।
ভাগ্যবান মানুষেরই যোগ্য লোক জোটে সময় নষ্ট ক’রে দেবার।
আমি বুঝি তোমার সেই যোগ্য লোক?
আমার কপালক্রমে পেয়েছি, খুঁজলে পাওয়া যায় না।
তোমাকে খুব ছেলেমানুষি করাই?
দেখো, অনেকদিন ধ’রে আমি গম্ভীর পোশাকি সাজ পরে এতদিন কাটিয়েছি, সেলাম পেয়েছি অনেক; এখন তোমার দরবারে এসে ছেলেমানুষির ঢিলে কাপড় পরে হাঁপ ছেড়েছি। সময় নষ্ট করার কথা বলছি দিদি, এক সময় তার হুকুম ছিল না। তখন ছিলুম সময়ের গোলাম। আজ আমি গোলামিতে ইস্তফা দিয়েছি। শেষের ক’টা দিন আরামে কাটবে। ছেলেমানুষির দোসর পেয়ে লম্বা কেদারায় পা ছড়িয়ে বসেছি। যা খুশি বলে যাব, মাথা চুলকে কারে কাছে কৈফিয়ত দিতে হবে না।
তোমার এই ছেলেমানুষির নেশাতেই তুমি যা খুশি তাই বানিয়ে বলছ।
কী বানিয়েছি বলে।
যেমন তোমাদের ঐ হ. চ. হ.; আমনতরো অদ্ভূত খ্যাপাটে মানুষ তো আমি দেখি নি।