ব্যাঙ্ বল্ল, “রাজার মেয়ে, রাজার মেয়ে, অত কাঁদছ কেন?”
রাজার মেয়ে বল্ল, “আমার সােনার গােলা জলে পড়ে গিয়েছে, তাই আমি কাঁদছি।”
ব্যাঙ্ বল্ল, “আমি যদি তােমার গােলা তুলে দিতে পারি তবে আমাকে কি দেবে?”
রাজার মেয়ে বল্ল “আমার চক্চকে পােষাক, ঝক্ঝকে মুকুট, আমার হীরার বালা মতির মালা, যা চাও আমি তাই দেব।”
ব্যাঙ্ বল্ল, “আমি তােমার পােযাক টোষাক কিছুই চাই না। তুমি যদি আমাকে তােমার সঙ্গে খেলা করতে দাও, তােমার সােনার থালাখানাতে তােমার সঙ্গে খেতে দাও, আর তােমার ছােট্ট বিছানাটিতে ঘুমুতে দাও, তবে আমি তােমার গোলা এনে দিতে পারি।”
রাজার মেয়ে বল্ল, “আচ্ছা তাই হবে। তুমি যদি আমার গােলাটি এনে দিতে পার, তবে তুমি যা বল্বে আমি তাই কর্ব।” সে মনে মনে ভাব্ল “কি বােকা! ব্যাঙ্ বুঝি আবার মানুষের সঙ্গে খেলা কর্তে পারে। সে ত খালি জলের ভিতর ব’সে গ্যাঙোর গ্যাঙোর ক’রে ডাকে।”
কিন্তু ব্যাঙ্ তখনি জলে ডুব দিয়ে সেই সােনার গােলাটি তুলে আন্ল। সে ভেবেছিল যে না জানি রাজার মেয়ে তার সঙ্গে কত খেলাই কর্বে। রাজার মেয়ে তার কিছুই করল না। সে গােলা পেয়ে খুসী হয়ে অমনি দে বাড়ীর পানে ছুট!