ঘরে এসে ঢুক্ল। সিংহকে দেখে সুন্দরী ত একেবারে ভয়ে জড় সড়। সওদাগর তাঁকে নমস্কার ক’রে বল্লেন, “এই আমার ছোটমেয়ে সুন্দরী। আমি বাড়ী গিয়ে ওকেই সকলের আগে দেখ্তে পেলাম, তাই তোমার কাছে নিয়ে এসেছি।”
সিংহ বল্ল, ‘আমি মনে করিনি তোমরা আস্বে। এসেছ দেখে খুব খুসী হলাম। তোমাকে কিন্তু কাল সকালেই বাড়ী ফিরে যেতে হবে। আর তোমার মেয়ে আমার কাছে থাক্বে। তুমি তার জন্য কিছু ভেবোনা। এখানে তার কোন কষ্ট হবে না।”
পরদিন সকালে সওদাগর দেশে ফিরে গেলেন। সুন্দরী সেই প্রকাণ্ড ভূতের বাড়ীতে একলা প’ড়ে রইল। তার কোন কষ্ট নেই। সেই হাতেরা সব সময়ে তার কাছে কাছে রয়েছে, যখন যা দরকার তখনি এনে দিচ্ছে। স্নানের সময় স্নানের ঘরে গিয়ে সুন্দরী দেখ্ল তার জন্য শাদা পাথরের চৌবাচ্চা ভরা গোলাপ জল রয়েছে, কত ভাল ভাল তেল, আর আলনা ভরা সুন্দর সুন্দর শাড়ী সাজান রয়েছে। খাবার সময় খাবার সব তৈরী। সুন্দরী খেতে বস্তেই চারদিক থেকে বাজনা বেজে উঠ্ল। সে বাড়ীর সবই চমৎকার, সবই আশ্চর্য্য। একঘরে নানান রকম খেলনা সাজান আছে, আরেক ঘরে সুন্দর সুন্দর বই; আর এক ঘরে লাল নীল হলদে পাখী সোণার খাঁচায় ব’সে গান কর্ছে। সমস্তদিন সুন্দরী সব ঘুরে ঘুরে দেখ্ল। অত বড় বাড়ীতে একলা তার বড় ভয় কর্ছিল, তা’ নইলে এগুলি তার ভালই লাগ্ত।
সন্ধ্যার সময় আবার সিংহ এসে হাজির। সে সুন্দরীকে বল্ল,