“আমি কি তোমার সঙ্গে বসে একটু গল্প কর্ব?” সুন্দরী ভাব্ল, “যদি ‘না’ বলি, তা’ হ’লে হয় তো আমাকে খেয়েই ফেলবে; তাই সে বল্ল “আচ্ছা।” সিংহ এখন ভারি খুসী হয়ে বসে তা’র সঙ্গে গল্প করতে লাগল। সিংহ তা’কে বল্ল, “তুমি এখানে কিছু ভয় পেওনা। এ বাড়ীর সব তোমার, তোমার যখন যা’ দরকার, চাইলেই তা’ পাবে।” সিংহটার কথাগুলি খুব মিষ্টি, কিন্তু সুন্দরী যতবার তার মুখের দিকে চায়, ততবার ভয়ে তার বুকের ভিতর ধড়াস্ করে ওঠে, আর ছুটে পালাতে ইচ্ছা করে। এম্নি ভাবে খানিকক্ষণ গল্প ক’রে সিংহ চ’লে গেল, সুন্দরী ও ঘুমতে গেল।
এম্নি করে, রোজ সন্ধ্যার সময় সিংহ এসে বলে, “গল্প কর্ব?” আর সুন্দরী বলে, “হাঁ”। ক্রমে একটু একটু করে সুন্দরীর ভয় কম্তে লাগল। তখন সে দেখ্ল যে সিংহের চেহারাটা ভয়ানক হ’লেও তার মনটি বড়ই ভাল। ক্রমে ক্রমে সিংহের সঙ্গে তার বেশ ভাব হ’য়ে গেল। শেষটায় একদিন সিংহ সুন্দরীকে বল্ল, “আমাকে বিয়ে কর্বে?” এ কথায় সুন্দরীর বড়ই ভয় হ’ল, সে কিছুতেই রাজি হলনা। তা’তে সিংহ ভারি দুঃখিত হয়ে চলে গেল।
সেদিন রাত্রে সুন্দরী স্বপ্ন দেখ্ল যে তার বাবার যেন খুব অসুখ করেছে, তিনি বিছানায় শুয়ে আছেন, কিন্তু তাঁ’র কাছে তাঁকে দেখ্বার কেউ নেই। তার বোনেরা যেন আর এক ঘরে ব’সে ব’সে সাজ পোষাক কর্ছে। দেখে তার মন ভারি খারাপ হয়ে গেল। সেদিন সন্ধ্যার সময় সিংহ আস্তেই সে দৌড়ে গিয়ে তাকে