খেতে আস্ছে। সেই শব্দ শুনে তারা দুজন ভয়ে কাঁপ্তে কাঁপ্তে তাড়াতাড়ি ফুলটাকে মাটিতে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে ছুটে পালাল।
এদিকে সুন্দরী বাবার কাছে এসে এত খুসী হয়েছে যে সাত দিনের দিন সিংহের কাছে ফিরে যাবার কথা আর তার মনেই নেই। তারপর হটাৎ যখন একদিন সে কথা তার মনে পড়্ল, তার ঢের আগেই সাত দিন হয়ে গিয়েছে। তখন সুন্দরীর মনে বড় দুঃখ হ’ল আর লজ্জা হ’ল। সে তাড়াতাড়ি তার ঘরে ফুল আন্তে গিয়ে দেখ্ল সেখানে ফুল নেই! খুঁজতে খুঁজতে সে তার বােনদের ঘরে গিয়ে দেখল যে ফুলটি শুকিয়ে মাটিতে প’ড়ে আছে। যেই সুন্দরী সেই ফুলটি মাটি থেকে কুড়িয়ে নিল, অমনি সেটি আবার আগের মত তাজা হয়ে উঠ্ল। তখন তার বােনদের কাছে আর বাবার কাছে বিদায় নিয়ে সে সিংহের বাড়ীতে ফিরে এল। কিন্তু এসে দেখে একি! চারদিকের সে সুন্দর বাগান একে বারে জঙ্গল হয়ে গেছে। বাড়ীর ভিতরে গিয়ে দেখে সেখানেও জিনিষ পত্র সব চারদিকে ছড়ান, কেউ যেন দেখবার নেই। সেই হাতগুলি আগের মতনই সব কাজ কর্ছে, কিন্তু তাদের যেন তেমন জোর নেই। সেদিন আর খাবার সময় বাজ্না বাজ্ল না। সন্ধ্যার সময় সুন্দরী ভাব্ছে “এখনই সিংহ আস্বে। সে হয়ত কত রাগ করেছে। তা’কে বল্ব যে আর আমি কখন এমন কর্ব না।”
কিন্তু কই সিংহ ত এল না! সমস্ত রাত সুন্দরীর ভাল করে