ঘুম হ’ল না, কেবল মনে হতে লাগল, “তবে কি সিংহ খুব রাগ করেছে? নাকি তার অসুখ করেছে? সে আমাকে এত যত্ন করে, কেন আমি তার কথা শুন্লাম না!”
সকাল হতেই সুন্দরী উঠে সমস্ত বাড়ীময় সিংহকে খুঁজল কিন্তু কেথাও তাকে দেখ্তে পেল না। তারপর বাগানে খুঁজ্তে গেল। বাগানও জঙ্গল হয়ে আছে। সেখানেও অনেকক্ষণ তাকে খুঁজে পেল না। শেষে হটাৎ দেখ্ল এক গাছের নীচে সে মরার মত হয়ে পড়ে আছে। অমনি ছুটে তার কাছে গিয়ে সুন্দরী কাঁদ্তে কাঁদ্তে বল্ল, “সিংহ, সিংহ ওঠ। তোমার কি অসুখ করেছে? আমি আর কখন এমন কর্ব না। তখন সিংহ চোখ চেয়ে বল্ল “বল আমাকে বিয়ে কর্বে কি না?”
সুন্দরী বলল, “তাতে তুমি যদি ভাল হও, নিশ্চয় কর্ব।” কি আশ্চর্য্য! এ কথা বল্তে বল্তেই চারদিকে বাজ্না বেজে উঠল, সে জঙ্গল কোথায় চলে গেল, বাগানের সমস্ত ফুল ফুটে উঠল চারদিকে পাখী গান কর্তে লাগল। আর সিংহ? সুন্দরী চেয়ে দেখে সিংহ ত নাই, তার জায়গায় এক রাজার ছেলে দাঁড়িয়ে আছেন।
রাজার ছেলে বললেন, “এ বাড়ী, এ বাগান সব আমার। এক যাদুকর আমাকে সিংহ করে দিয়েছিল, আর বলেছিল, যদি কোন সুন্দরী মেয়ে আমাকে বিয়ে কর্তে রাজি হয় তবে আমি মানুষ হব।”
এদিকে সে বাড়ীর চাকর বাকরেরা, যাদের শুধু হাত ছিল।