বার কর্তে হবে। কাল সকালের আগেই কর্বে, যদি না পার, তোমাকে কেটে ফেল্ব।” এই বলে ত রাজামশাই চলে গিয়েছেন। তারপর মুদীর মেয়ে ব’সে ব’সে কাঁদ্ছে আর ভাব্ছে, “আজও যদি সেই বামণ আসে ত বেশ হয়।”
এমন সময় সত্যি সত্যিই সেই ছোট্ট মানুষটি ঘুট্ ঘুট্ ক’রে এসে উপস্থিত! সে জিজ্ঞাসা করল, “আজ আমায় কি দেবে?” মুদীর মেয়ে বল্ল, “হাতের বালা দেব।”
অমনি ঘরর্ ঘরর্ ঘরর্ চরকা ঘুরতে লাগ্ল, আর দেখ্তে দেখ্তে সেই ঘর ভরা সমস্ত খড়, চক্চকে সোণার সুতা হয়ে গেল। তারপর বালা নিয়ে বামন চ’লে গেল।
রাজা এসে, সোণা দেখে, ভারি খুসী হলেন। তারপর আরো ঢের বেশী খড় এনে আরো বড় একটা ঘর ভ’রে দিয়ে মুদীর মেয়েকে বল্লেন, “আজ রাত্রের মধ্যে যদি এই খড় থেকে সোণা বানাতে পার, তবে তোমাকে আমার রাণী কর্ব, আর যদি না পার তবে মেরে ফেল্ব।” রাজা ভাব্লেন “মুদীর মেয়ে হ’লে কি হয়, খড় থেকে কেমন সোণা করে দেয়! একেই রাণী কর্ব আর দিন রাত কেবল খড় কাটাব। বাঃ, আমার কত সোণা হবে!”
সেদিনও মুদীর মেয়ে ভাব্ছে, “যদি বামন আসে ত বেশ হয়,” আর অমনি বামন এসে উপস্থিত। বামন বল্ল, “আজ কি দিবে?” মুদীর মেয়ে বল্ল, “আর তো আমার কিছু নেই।” বামন বল্ল, “আচ্ছা, বল, তুমি রাণী হ’য়ে তোমার প্রথম ছেলেটি আমাকে দিবে কি না?”