নেড়ে বল্ল, “হ’ল না।” “তবে কি, কানাই?” বামন হাস্তে হাস্তে বল্ল, “না, না। হ’ল না। আবার কাল আস্ব।”
তার পরদিন বামন আবার এসে বল্ল, “বলত আমার নাম কি?” রাণী বল্লেন, “হয় গদাধর, না হয় পাঁচু, নইলে মাণিক।” বামন বল্ল, “হোঃ হো হ’ল না! আবার কাল আস্ব।”
আর একদিন মোটে বাকী আছে। রাণীর মনে ভারি ভয় হয়েছে। বামনের কি নাম, তিনি কি ক’রে জান্বেন? তিনি নামও বল্তে পার্বেন না, কাজেই ছেলেকেও দিয়ে দিতে হবে।
এমন সময় যে সব লোকদের তিনি নাম জান্তে পাঠিয়ে ছিলেন, তাদের মধ্যে একজন এসে বল্ল, “কই, কোন নূতন নাম ত জান্তে পার্লাম না। কিন্তু বনের ভিতর দিয়ে আস্বার সময় একটা ভারি মজা দেখেছি! বনের ভিতরে একটা ছোট পাহাড়ের উপর একটা ছোট্ট ঘর আছে। দেখ্লাম কি, সেই ঘরের সাম্নে, আগুন জ্বেলে একজন একহাত লম্বা মানুষ লাফাচ্ছে আর বল্ছে—
আজ কর্ব রান্না খা’ব পেট ভ’রে,
কাল আন্ব রাণীর ছেলে, ড্যাং ড্যাং ক’রে,
আমি রাম-খেল-তিলক-সিং,
তাই নাচি তিড়িং তিড়িং।
একথা শুনেই ত রাণী বুঝ্তে পার্লেন যে সেই এক হাত লম্বা মানুষ আর কেউ নয়, সেই বামন, আর তার নাম,