মুকুট দিয়েছে। সে মুকুট মাথায় পরে আমাকে এমন সুন্দর দেখাচ্ছে যে সবাই বল্ছে, ‘এমন সুন্দর মেয়ে আমাদের দেশে আর নেই।”
বুড়ী কানে হাত দিয়ে বল্ল, “ছি ছি! অমন ক’রে অহঙ্কার কর্তে নেই, তা’হলে কেউ ভাল বল্বে না।” মুরলা মুখ বাঁকিয়ে বল্ল, “না বলে ত ব’য়ে গেল।” এই ব’লে সে খেলা করতে চল গেল।
সেদিন সেই গ্রামের জমিদার মুরলাকে বিয়ে কর্বার জন্য বুড়ীর বাড়ীতে এলেন। বুড়ীর মনে ত আনন্দ আর ধরেই না। সে ভাব্ল, “আমার মেয়ে তবে নিশ্চয়ই খুব সুন্দর; না হ’লে জমিদার মশাই তা’কে বিয়ে করতে আসেন?” মুরলা কিন্তু ঘাড় বাঁকিয়ে বল্ল, “কোথাকার কোন এক গ্রামের জমিদার, তাকে আমি বিয়ে কর্তে গেলাম আর কি! সে যদি রূপর গাড়ী হাঁকিয়ে আস্ত, আর আমাকে সােণার মুকুট দিত, তবু আমি তা’কে বিয়ে কর্তাম না।” বুড়ী তার কথা শুনে মাথা চাপ্ড়িয়ে কাঁদ্তে লাগ্ল।
সেদিন রাত্রে মুরলা ঘুমের মধ্যে এমনি চেঁচিয়ে ‘হাে’ ‘হো’ করে হেসে উঠ্ল যে, ঘরে একটা বেড়াল শুয়ে ছিল, সেটা ভয় পেয়ে ছুটে সেখান থেকে পালিয়ে গেল।
সকালে উঠে বুড়ী বল্ল, “মুরলা, কাল রাত্রে বুঝি আরও জমকালো স্বপ্ন দেখেছিলে? তাই অত ‘হাে’ ‘হো’ করে হাস্ছিলে? মুরলা বল্ল, “হাঁ মা! কাল যে স্বপ্ন দেখেছি, সে স্বপ্ন যদি সত্যি