হ’ত তবে কি মজাটাই হত! সব কথা শুন্লে তুমি আমাকে মার্তেই আসবে।” বুড়ী বল্ল, “এমন মজার স্বপ্নটা কি, শুনিই না কেন।” তখন মুরলা হাস্তে হাস্তে বল্ল, “কাল দেখেছি, একজন লোক যেন এক প্রকাণ্ড ঝক্ ঝকে সোণার গাড়ীতে চ’ড়ে আমাদের বাড়ী এসেছে, আর আমাকে একটা শাড়ী দিয়েছে সেটা আগাগোড়া সোণার। শাড়ীখানা প’রে আমাকে এমনি চমৎকার দেখাচ্ছে যে সকলে বল্ছে ‘এমন চমৎকার মেয়ে পৃথিবীতে নেই।” এই কথা ব’লেই মুরলা দৌড়ে সেখান থেকে পালিয়ে গেল, পাছে বুড়ী তা’কে বকে।
তার পরদিন সকালে উঠে তা’রা দেখল সত্যি সত্যিই তিনখানা গাড়ী তাদের দরজার সাম্নে দাঁড়িয়ে আছে। একখানা লাল রংএর তামার তৈরী, তা’তে দুইটা ঘোড়া। আর একখানা সাদা ধব্ধবে, রূপর তৈরী, তাতে চারটা ঘোড়া। আর একখানা হল্দে রংএর, ঝক্ঝকে সোণার তৈরী, তা’তে এই বড় বড় আটটা ঘোড়া জোতা। সে সব গাড়ীর সইস কোচওয়ান সকলেরই ঝক্ঝকে জরির পোষাক। দেখ্লে বড়লোক বলে মনে হয়। বুড়ী আর মুরলা ঘরের দরজা খুল্তেই, সেই সোণার গাড়ী থেকে একজন লোক নেমে এল; তার পরণে সোণার পোষাক, মাথায় সোণার পাগড়ী। সে এসে বুড়ীকে বল্ল, “আমি খনির রাজা, আমি মুরলাকে বিয়ে কর্তে চাই।” এবারে আর মুরলা “না” বল্ল না। তখন খনির রাজা তার হাতে একটা আংটি পরিয়ে দিল, তা’র পাথরগুলো সব তারার মতন জ্বল্ছে; একটা সোণার মুকুট তা’র মাথায় পরিয়ে দিল সেটা