একথালায় ভাত খেতে হবে। আমি বল্লাম, “হাঁ, তাই কর্ব।” আমি কি জানি যে সে সেই বন থেকে এতদূর চলে আস্তে পারবে?”
ব্যাঙ আবার ডাক্তে লাগল, “ও ছােট রাজকন্যা, আমাকে ঢুক্তে দাও। কাল যে সেই ঝরণার ধারে কি বলেছিলে মনে নেই? শীঘ্র দরজা খােল।”
তখন রাজা বল্লেন, “তুমি যখন বলেছ, তখন দরজা খুলে দিতেই হয়। কাজেই সে দরজা না খুলে দিয়ে আর কি করে?
দরজা খুলতেই ত অমনি সেই সর্ব্বনেশে ব্যাঙ, থপাস্ থপাস্ করে ঘরের ভিতর চলে এল। তারপর গিয়ে বস্বিত বস্ একেবারে রাজার মেয়ের সােনার থালাখানির পাশে! বলে, “তােমার। সঙ্গে ভাত খাবাে!” তা দেখে রাজার মেয়ে চোখ বুঁজে না সিঁটকিয়ে মুখ ফিরিয়ে বল্ল “ওয়াক!” কিন্তু রাজা বল্লেন, “তা হবে না। ও তােমার কত উপকার করেছে। ও যা বল্বে, তােমাকে তাই কর্তে হবে।” তাতে রাজার মেয়ে অনেক কষ্টে ঠোট মুখ চেপে চুপ করে রইল, কিন্তু কিচ্ছু খেতে পারল না।
ততক্ষণে ব্যাঙ্ হাপুত্ হুপুত্ করে ভাতটাত সব খেয়ে তারপর বল্ল, “বাপরে, বড্ড পেট ভরে গিয়েছে। এখন আমাকে নিয়ে তােমার ছােট্ট বিছানায় শুইয়ে দাও।”
তা শুনেই ত রাজার মেয়ের কান্না আস্তে লাগ্ল। ঘেন্নায় তার গা সির্ সির্ কর্ছে, কিন্তু রাজা মশাইয়ের ভয়ে সে কিছু বল্তে পারছে না। ব্যাঙের কথা না শুন্লে তিনি এখনি বড্ড