আমার দেশ, যেখানে সােণা, রূপা, তামা, শীশা, এই সব পাওয়া যায়।”
খানিক পরে অনেক গুলাে ভূতের মত লােক মশাল হাতে নিয়ে গাড়ীর কাছে এল; তখন মশালের আলােতে মুরলা দেখ্ল কি আশ্চর্য দেশ। লাল রংএর তামার রাস্তা, দুইধারে বন, সে বনের গাছপালা সব শাদা শীশার। বনের পরে প্রকাণ্ড মাঠ, তাতে রূপার ঘাস ঝক্ঝক্ কর্ছে; সেই মাঠের মাঝখানে সােণার রাজবাড়ী। সেই বাড়ীর দরজার কাছে এসে রাজা বল্লেন, “আমি এই দেশের রাজা; এই আমার বাড়ী। তুমি এখানকার রাণী হলে।”
মুরলা ভাবল, “আহা! কি চমৎকার! হ’লই বা অন্ধকার? এত সােণারূপা আর কোথায় আছে?”
সমস্তদিন গাড়ীতে ঘুরে ঘুরে সকলেরি খুব ক্ষিদে পেয়েছিল, তাই রাজা মুরলাকে বল্লেন, “চল এবার খেতে যাই।” মুরলারও খুবই ক্ষিদে পেয়েছিল, আর সে ভাবছিল যে এ দেশের খাবার জিনিষ না জানি কি চমৎকার! খাবার ঘরে গিয়ে দেখ্ল, সেখানে থালা ভ’রে ভ’রে কেবল লাল, নীল, হলদে, সবুজ, বেগুনী, নানা রঙ্গের দামী দামী পাথর সাজান রয়েছে। সে গুলাে দেখ্তে খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে, কিন্তু খাবার কোথায়? রাজা খেতে ব’সেছেন, মুরলা বসেছে, চারদিকে সেই ভূতগুলো ব’সেছে। তারা সকলেই সেই সব পাথর মুঠো মুঠো তুলে মুখে দিয়ে চিবিয়ে খাচ্ছে, মুরলা হাঁ করে বসে দেখ্ছে। খানিক পরে রাজা বললেন, “রাণী তুমি কিছু খাচ্ছ না যে? তােমার ক্ষিদে পায়নি?” মুরলা বলল, “আমরা