ত ভাত খাই; এ সব কেমন ক’রে খাব?” রাজা একটা ভূতকে ডেকে বল্লেন, “ওরে ভাত নিয়ে আয়।” মুরলা ভাব্ল, “বাঁচা গেল, এইবারে ভাত খেতে পাব।
কিন্তু ভাত যা’ নিয়ে এল, সে খালি তামার তৈরী লাল লাল দানা, মুরলা তা’ কেমন করে খাবে? সে বল্ল, “এ ভাত ত আমি খেতে পার্ব না, আমরা সাদা ভাত খাই।” তা শুনে সেই ভূতটা বল্ল, “হঁ! সে ভী আছে।” বলেই অমনি ছুটে গিয়ে সে একথালা রূপার ভাত নিয়ে এল। সে ভাতও মুরলা খেতে পার্ল না দেখে একথালা সােণার ভাত আন্ল। তাও যখন মুরলা খেতে পার্ল না, তখন রাজা বল্লেন, “আমাদের দেশে এ রকম ছাড়া অন্য রকম ভাত নেই। তুমি খেতে পার খাও, না খেতে পার চুপ ক’রে থাক।” তখন মুরলা ভয়ানক কাঁদ্তে লাগল। সে রাত সে না খেয়েই রইল, পরদিনও কিছু খেল না! কিন্তু না খেয়ে আর কতদিন থাক্বে? দুই তিন দিনের মধ্যেই সে ভয়ানক রােগা আর দেখ্তে বিশ্রী হয়ে গেল। তখন মনের দুঃখে মুরলা বিছানায় পড়ে কাঁদ্তে লাগল।
এমন সময় সেই রূপর পােষাক পরা আর তারার মালা পরা পরী এসে তার সাম্নে দাঁড়িয়ে বল্ল, “কি মুরলা, এত টাকা পেয়েও তুমি খুসী হও নি?”
মুরলা কাঁদ্তে কাঁদ্তে বল্ল, “ওগাে আমি টাকা চাই না। এখন আমি বুঝেছি যে শুধু টাকাতে কিছু হয় না। আমি মা’র কাছে সেই কুঁড়ে ঘরখানিতে ফিরে যেতে চাই।”
যেই মুরলা এইকথা বলেছে, অমনি সেই খনির রাজা, সােণার