প্রকাণ্ড বনের ভিতর এসে পড়্লেন। একেত বনের ভিতরে ভাল ক’রে পথ দেখা যায় না, তার উপর আবার তখনি ভয়ানক ঝড় বৃষ্টি এল। মানিকের কষ্টের আর সীমা নাই!
এমনি করে অন্ধকারের মধ্যে বৃষ্টিতে ভিজে যেতে যেতে সে হটাৎ সামনে একটা প্রকাণ্ড দরজা দেখ্তে পেল। দরজাটা আগাগােড়া সােণার, তাতে দামী দামী পাথর বসান, অন্ধকারে সে গুলাে ঝক্ ঝক্ করছে। মাণিক আস্তে আস্তে যেই সেই দরজায় যা দিয়েছে অমনি সেটা খুলে গেল। দরজা খুল্তেই যা দেখা গেল, সে ভারি মজার তামাসা। মাণিকের বড়ই পরিশ্রম আর ক্ষিদে হয়েছিল; নইলে সে তা দেখে নিশ্চয়ই খুব হাস্ত। সে দেখল কি, একদল বেড়াল দুই পায় দাঁড়িয়ে সামনের দুই পা দিয়ে তাকে নমস্কার কর্ছে। তারা আবার কথাও বল্তে পারে! আর সকলে মিলে তাকে ভিতরে যাবার জন্য ডাক্ছে।
মাণিক এ সব দেখে এতই আশ্চর্য্য হয়ে গিয়েছে যে ভিতরে যাবার কথা তার আর মনেই আস্ছে না। সে হাঁ করে দাঁড়িয়ে আছে, মুখে তার কথাটি নেই।
তাই দেখে বেড়ালেরা এসে তাকে টেনে ভিতরে নিয়ে গেল। মাণিক তাতে কোন ভয় পেল না;—তার সঙ্গে তলােয়ার ছিল।
সেই বাড়ীর দরজা যেমন সুন্দর ভিতরটাও তেমনি চমৎকার। বেড়ালেরা তার ভিজে কাপড় ছাড়িয়ে তাকে নিয়ে একটা ঘরে বসাল। সে ঘরটি ফুলের মালা দিয়ে সাজান। তার মেজে ফিরােজা পাথরের তৈরী, দরজা জানালা ঝিনুকের। মাঝখানে