জন্য তোমার কিছু ভাবনা নেই। আমি সব ঠিক করে দিচ্ছি।” ব’লেই তখনি সে মাণিকের জন্য ঘোড়া আন্তে হুকুম দিল; আর ঘোড়াও তখনি খট্ খট্ ক’রে এসে হাজির হ’ল। মাণিক ত একেবারে অবাক! লাল রংএর কাঠের ঘোড়া, তার সনের চুল সনের লেজ! মাণিক বল্ল, “তোমরা কি আমার সঙ্গে ঠাট্টা করছ? কাঠের ঘোড়ায় চড়ে কেমন করে যাব? সে কি আবার চল্তে পারে?” রাণী বল্ল, ‘চ’ড়েই দেখ না কেন; ও বাতাসের আগে যাবে।
যেমন করেই হোক, ঘোড়া ত হ’ল; এখন কুকুর চাই। বিড়ালনী একটা আমের আঠি এনে মাণিককে দিয়ে বল্ল, “এর ভিতর কুকুর আছে। এখন এটা খুলো না তা’হলে কুকুরটার ঠাণ্ডা লাগ্তে পারে। একেবারে তোমার বাবার কাছে নিয়ে খুল্বে।” কাণের কাছে আঠিটা নিয়ে মাণিক শুন্ল সত্যি সত্যিই তার ভিতর ‘ভোউ’ ‘ভোউ’ ক’রে কুকুর ডাক্ছে। সেই আঠি কোঁচড়ে বেঁধে নিয়ে মাণিক যেই সেই কাঠের ঘোড়ায় চড়েছে, অমনি সেই ঘোড়া ঠক্ ঠক্ করে কাঠের পা ফেলে কি ছুটই দিল! তিন দিনের মধ্যে সে একেবারে রাজার বাড়ীতে এসে উপস্থিত!
রাজার আর দুই ছেলে এর আগেই ফিরে এসেছিল। তারা ঠক্ ঠক্ শব্দ শুনে এসে দেখল উঠানে একটা লাল রংএর কাঠের ঘোড়া নাক দিয়ে ফোঁস ফোঁস্ কর্ছে, আর কাঠের কাণ খাড়া করে সনের লেজ নেড়ে নেড়ে মাছি তাড়াচ্ছে। দেখে ত তারা হেসেই কুটপাট! তারা বল্ল, “কি মাণিক, কুকুর বুঝি পাওনি,