পাতা:গল্পের বই - সুখলতা রাও.pdf/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিড়াল রাণী।
৯৯

তাই এই কাঠের ঘোড়াটা নিয়ে এসেছ?” মাণিক কিছু বল্ল না, চুপ করে রইল।

 পরদিন রাজামশাই সভায় বসেছেন, চারদিকে সব লোকজনেরা ব’সেছে। কুকুর দেখাবার জন্য, রাজা তাঁর ছেলেদের ডেকে পাঠালেন। বড় দুই ছেলে যে দুই কুকুর এনেছে, সে দুটোই খুব ছোট আর খুব সুন্দর। তা দেখে সকলেই বল্ল যে “এমন কুকুর আর পৃথিবীতে নেই।” কিন্তু তার কোনটা যে বেশী ভাল তা কেউ ঠিক করতে পার্‌ল না; তাই তারা বল্ল, “রাজ্য দুই ভাগ ক’রে, দুজনকে সমান ভাগ দিন।”

 এমন সময় মাণিক সেই আমের আঠিটি এনে রাজার হাতে দিল। রাজামশাই যেই সেটি খুলেছেন, অমনি আরশুলার মতন ছোট্ট একটি কুকুর তার ভিতর থেকে বেরিয়ে এসে লেজ নাড়্‌তে লাগল। তখন আর কারোর মুখে কথাটি নেই, সকলে হাঁ করে খালি সেই কুকুরের দিকে চেয়ে আছে।

 রাজামশাই কুকুর দেখে খুবই খুসী হলেন, তা’তে আর ভুল কি, কিন্তু তাঁর রাজ্য ছেড়ে দেবার ইচ্ছা একেবারেই নেই। তাই তিনি ছেলেদের বল্‌লেন যে, “বাপু সকল, তোমরা আমার জন্য এত পরিশ্রম করে কুকুর এনেছ দেখে আমি অত্যন্ত খুসী হ’লাম। এখন তোমাদের আর একটি কাজ দিচ্ছি, এটি করলেই রাজ্য দিব। এক বছরের মধ্যে আমাকে এমন একখানা পাতলা কাপড় এনে দিতে হবে, যে সে কাপড়খানা একটা ছুঁচের ফুটোর ভিতর দিয়ে গলে যেতে পারে।”