তখন আবার তারা তিন জনে বার হ’ল। বড় দুভাই ঘোড়ায় চড়ে দু’দিকে চলে গেল। আর মাণিক তার কাঠের ঘোড় চড়ে একেবারে বেড়ালদের দেশে উপস্থিত হ’ল।
বিড়ালরাণী তাকে দেখে খুব খুসী হয়ে বল্ল, “এর মধ্যে ফিরে এসেছ? কিন্তু রাজা হ’তে পারনি নাকি? তোমার মুকুট কোথায়?” সে বল্ল, “না, হতে পারিনি। বাবা আরেকটা কাজ দিয়েছেন। এক বছরের মধ্যে এমন একখানা পাতলা কাপড় নিয়ে যেতে হবে, যে তাকে একটা ছুঁচের ফুটোর ভিতর দিয়ে গলান যেতে পারে।” রাণী বল্ল, “তার জন্য কোন ভাবনা নেই। তুমি মনের সুখে এখানে বসে থাক। আমি সব ঠিক করে দেব।” কাজেই মাণিকের আর কোন ভাবনা নেই, সে সেখানে থেকে মনের সুখে খায় দায়, আর বেড়িয়ে বেড়ায়। প্রায় এক বছর এইভাবে গেল। তখন একদিন বিড়ালরাণী তাঁকে বল্ল যে, “এখন কাপড় নিয়ে বাড়ী ফিরবার সময় হয়েছে।”
এবারে আর মাণিককে কাঠের ঘোড়ায় চ’ড়ে যেতে হ’ল না। এবার তার জন্য রূপর গাড়ী এল, তাতে বারটি সাদা ধব্ধবে ঘোড়া জোতা। মাণিক ঝকঝকে সোণালী পোষাক পরে সেই গাড়ীতে উঠ্ল। তখন বিড়ালরাণী তার হাতে একটা বাদাম দিয়ে বল্ল, “এই নাও। কিন্তু রাস্তায় এটা খুলো না, তা হ’লে কাপড়খানা কাদা লেগে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
তারপর সেই বার ঘোড়ার গাড়ী ছুটিয়ে মাণিক তার